নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর৷৷ পূর্ত ঘোটালায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের এজাহার চ্যালেঞ্জ মামলায় আগামী ১০ ডিসেম্বর ত্রিপুরা হাইকোর্ট রায় ঘোষণা দেবে৷ আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অকিল কুরেশি এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, পূর্ত ঘোটালায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ ত্রিপুরার প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী এবং প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী সুনীল ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে৷ তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন৷ বাদল চৌধুরী ত্রিপুরা হাইকোর্টে ওই ঘোটালায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের এজাহার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছেন৷ আজ শুনানি শেষ হওয়ার পর বাদল চৌধুরীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যী বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয় না৷ তাই, আদালতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের এজাহারকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে৷
তিনি বলেন, বাদল চৌধুরী কোন ভাবেই ঘোটালার সাথে যুক্ত নন৷ কারণ, ২০০৮ সালে পূর্ত দপ্তরের কাজের বরাত দেওয়ার সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক ছিল না৷ তাছাড়া, নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল এবং সে-মোতাবেক কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে৷ ফলে, ওই সময় কোন দুর্নীতি হয় নি, দাবি করেন তিনি৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরা বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটি সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পূর্ত কাজে কোন ঘোটালা হয়নি বলে সিলমোহর দিয়েছে৷ তিনি জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর ওই মামলায় রায় ঘোষণা দেবে৷
এদিকে, অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুন কান্তি বলেন, পূর্ত দফতরের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বাদল চৌধুরীর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছেন পূর্ত কাজের রিপোর্টে পাবলিক একাউন্টস কমিটির অনুমোদন রয়েছেঊ কিন্তু, সেই অনুমোদন ছিল মাত্র একটি কাজের জন্যেঊ বাকি প্রায় ১৬১ কোটি টাকার ১৭ টি কাজের রিপোর্টে পাবলিক একাউন্টস কমিটির অনুমোদন ছিলনা ঊ অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ওই কমিটির পরামর্শ দেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে৷
কিন্তু কোন ফৌজদারি বিষয় নিয়ে বিচার করতে পারেনা ঊ তাঁর দাবি, ফৌজদারি বিষয় নিয়ে আদালতে বিচার করবে ঊ তিনি জানান, আজ আদালতে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে৷ আগামী ১০ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা হবে৷