শিলচর কারাগারের শৌচালয়ে কয়েদির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

শিলচর (অসম), ২৮ নভেম্বর (হি. স.) : শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারের শৌচালয়ে গলায় ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন জনৈক কয়েদি। সূত্রের খবর, সঞ্জয় দাস নামের যুবক নেশাসক্ত, চুরি ইত্যাদির দায়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় কারাগারের শৌচাগারে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে এটি আত্মহত্যা না খুন, এ-ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষে একস্ট্রা অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার (ইএসি) অভিলাষ বারান্বাল ঘটনার তদন্ত করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে গিয়ে পরিদর্শন করে এসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুবকটি ড্রাগ অ্যাডিকশন, চুরি ইত্যাদির দায়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন।

তিনি জানান, উধারবন্দ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত মধুরা কোয়ারি এলাকার জগদীশ দাসের বছর ৩০-এর ছেলে ছিলেন সঞ্জয় দাস। মৃত্যুর কারণ তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে। তাঁর গলায় ফাঁসির দাগ ছাড়া শরীরে কোনও ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়নি। আপাতত তাঁরা একে আত্মহত্যা হিসেবে গণ্য করছেন, জানান ইএসি) অভিলাষ বারান্বাল।

উল্লেখ্য, শিলচরের কেন্দ্রীয় কারাগারেই রয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প। এখানেই সন্দেহজনক বিদেশি বলে আটক বন্দিরা রয়েছেন। কয়েদির মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার সাথে সাথে অনেকে ভেবেছিলেন, হয়তো ডিটেনশন ক্যাম্পের কোনও বন্দি আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রশাসনের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, মৃত ব্যক্তিটি ডিটেনশন ক্যাম্পের কোনও বন্দি নন। তিনি একজন কয়েদি।

অপরদিকে জেল সুপার সত্যেন্দ্র বৈশ্য জানান, আজ সকালে হঠাৎ করে কারাগারের আধিকারিকরা খবর দেন, শৌচাগারে এক কয়েদির ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তাঁরা এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। কারাগারের সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু শক্তিশালী? এর ভিতর কীভাবে একজন কয়েদি আত্মহত্যা করেলন? এ-সব প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু শৌচাগারের ভেতর পুলিশ বা প্রহরী রাখা সম্ভব নয়। তবে আগামীতে যাতে এ-ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। মৃত সঞ্জয়ের পরিবারবর্গদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলের সুপারিনটেনডেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *