প্রাণী পালন, দুগ্দ, মাংস ও ডিম উৎপাদনেও রাজ্য এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় : মন্ত্রী শান্তনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ নভেম্বর ৷৷ পশু খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রজ্ঞাভবনে বুধবার প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা৷ পশু খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা দপ্তরের প্রত্যেক কর্মীকে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷


তিনি বলেন, দপ্তর তৎপর না হলে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা হিসেবে গড়ে তোলা কোন দিনই সম্ভব হবে না৷ রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ম্ভর হিসেবে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তাকে সফল করতে হলে প্রাণী পালন, দুগ্দ, মাংস ও ডিম উৎপাদনেও গুরুত্বারোপ করতে হবে৷ এক্ষেত্রে রাজ্য এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়৷


সেজন্যই রাজ্য সরকার এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে৷ গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি পরিবারকে পশু পাখি পালনে উৎসাহিত করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন৷ এক্ষেত্রে পশু ও পাখিদের খাদ্যের নিশ্চয়তা এক বড় বিষয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ এসব খাদ্যের জন্য বহির্রাজ্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷ নির্ভরশীলতা কমাতে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরকে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে৷ বহির্রাজ্য থেকে খাদ্য আমদানির ফলে রাজ্যের বহু টাকা বহির্রাজ্যে চলে যাচ্ছে৷


রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যে পশুখাদ্য উৎপাদনের মধ্য দিয়ে পরনির্ভরশীলতা কমাতে এবং আর্থিক সঞ্চয় বাড়াতে৷ পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার মানুষ যাতে ব্যাঙ্ক থেকে সহজ পদ্ধতিতে ঋণ নিয়ে পশুপালনে উৎসাহিত হতে পারেন সেদিকেও নজর দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা৷ প্রতিবছর ডিম, দুধ সহ অন্যান্য খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বহির্রাজ্য ও বহিরাষ্ট্র থেকে প্রচুর সামগ্রী আমদানি করতে হচ্ছে৷ বর্তমান সরকার পরনির্ভরশীলতা কমানোর মধ্য দিয়ে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতেই এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *