নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ নভেম্বর৷৷ মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ৷ তাই, রাজধানী আগরতলায় বলপূর্বক মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি এবং শেষে গ্রেফতার হন প্রদেশ যুব কংগ্রেস কর্মীরা৷ এ-বিষয়ে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পূজন বিশ্বাসের হুমকি, বলপ্রয়োগ করে যুবদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না৷ প্রতিবাদ সারা রাজ্যে আছড়ে পড়বে৷ মঙ্গলবার যুব কংগ্রেসের মিছিলকে কেন্দ্র করে আগরতলার বাণিজ্য এলাকায় তীব্র যানজট এবং আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল৷
পূর্ব সূচি অনুযায়ী আজ প্রদেশ যুব কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে গান্ধী সন্দেশ যাত্রার আয়োজন করেছিল৷ সে মোতাবেক মিছিলের জন্য গতকাল পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, দাবি করেন প্রদেশ যুব অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পূজন বিশ্বাস৷ তাঁর অভিযোগ, আজ হঠাৎ মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পুলিশ গতকালের দেওয়া অনুমতি বাতিল করে দেয়৷ পুলিশ নাকি জানিয়ে দেয়, আগরতলা শহরে মিছিল করা যাবে না৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/DSC_6027-1024x683.jpg)
তাঁর বক্তব্য, আজ সার্কিট হাউসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি নিয়েছিল প্রদেশ যুব কংগ্রেস৷ কিন্তু সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শেষ মুহূর্তে পুলিশ মিছিলের অনুমতি বাতিল করে দেয়৷ তবু আমরা মিছিলের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম৷ তাই যুব কর্মীদের নিয়ে পোস্টফিস চৌমুহনিস্থিত প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করি, বলেন তিনি৷
এদিকে, মিছিলটি শুরু হতেই পুলিশ রাস্তায় নেমে পড়ে৷ তাঁদের ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানায় পুলিশ৷ তখন প্রদেশ যুব কর্মীদের সাথে পুলিশের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়৷ প্রতিবাদে তারা মন্ত্রীবাড়ি রোডে রাস্তায় বসে পড়েন৷ যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভের জেরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়৷ বাণিজ্যিক এলাকা হাওয়ায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের নিরাপত্তাও পুলিশের অন্যতম চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়৷ তাই প্রথমে প্রচুর পুলিশ ও টিএসআর মোতায়েন করা হয়৷ এরই সাথে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করে পুলিশ৷
পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পুলিশ যুব কর্মীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়৷ কিন্তু তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না বলে অনড় থাকেন৷ উপায় না পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে৷ প্রায় দুই শতাধিক যুব কংগ্রেস কর্মী এদিন গ্রেফতার বরণ করেন৷ তাঁদের এডি নগর পুলিশ লাইনে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷
এদিনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রদেশ যুব অন্তর্বতীকালীন সভাপতি পূজন বিশ্বাস একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, বিরোধীদের ভয় পেয়েছে শাসকদল৷ তাই, বিরোধী যুবদের রাস্তায় নামতে বাধা দিচ্ছে৷ তাঁর হঁশিয়ারি, এ-ভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না৷ প্রতিবাদের ঝড় সারা ত্রিপুরায় আছড়ে পড়বে একদিন৷