নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ উনকোটি গৌরনগর ব্লকের অধীনে যুবরাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা সরকারের বিরদ্ধে কংগ্রেসের সাতজন পঞ্চায়েত সদস্য লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব উনকোটি জেলা পরিষদের জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক অভিজিৎ মালাকারের নিকট জমা দেয় সোমবার দুপুরে৷ এগারো আসন বিশিষ্ট যুবরাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে গত পঞ্চায়েত ভোট নির্বাচনে সাতটি আসনে কংগ্রেস দল এবং চারটি আসনে বিজেপি দলের প্রার্থীরা জললাভ করে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/04/Tripura.jpg)
পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি তপশীলি মহিলা সংরক্ষিত ছিল৷ কিন্তু কংগ্রেসের জয়ী সাতজনের মধ্যে কেউ তপশীলি মহিলা ছিলেন না অর্থাৎ মহিলা তপশীলি ভোটে জিততে পারেনি কংগ্রেস দল৷ অথচ, বিজেপি দলের চারজন জয়ী সদস্যের মধ্যে অর্চনা সরকার নামে এক সদস্য ভোটে জেতে৷ পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দল অর্চনা সরকারকে প্রধান পদে মনোনিত করে এবং উপপ্রদান পদে কংগ্রেস দলের জয়ী সদস্য শরীফ আলিকে মনোনিত করেছিল৷ গত তিন চারমাসে পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা সরকার কংগ্রেসের সাত সদস্যের কথা শুনছেনা বলে অভিযোগ এনে আজ দুপুরে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান এবং কেলাসহর ব্লক যুব কংগ্রেসের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সাত জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দেয়৷
এ ব্যাপারে জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক অভিজিৎ মালাকার সংবাদ প্রতিনিধিদের বলেন, পঞ্চায়েত আইন অনুসারে আগামী পনেরো দিনের মধ্যে প্রধানকে নোটিশ দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেখানোর জন্য বলা হবে এবং এরপর আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ কংগ্রেস দল গাঁও প্রধানের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কার্যত শতব্ধ হয়ে পড়েছে৷