নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর (হি.স.): উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার অবসান হল না, বরং আরও বাড়ল| মহারাষ্ট্র নিয়ে মঙ্গলবার সকালে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট| মহারাষ্ট্রে কী হবে, তা জানা যাবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায়| মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি চলাকালীন সোমবার আইনজীবী মুকুল রোহতাগি সুপ্রিম কোর্টে জানান, দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের পক্ষে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, দেখেই তাঁকে সরকার গঠনে আহ্বাণ জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারি|
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/Supreme-Court.jpg)
মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরোধিতায় সোমবার যৌথ পিটিশন দায়ের করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস| শিবসেনার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল এবং কংগ্রেস-এনসিপি-র হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙভি| শিবসেনার আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘ভোর ৫.১৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শাসন কেন তুলে নেওয়া হল মহারাষ্ট্রে| তারপর আটটায় শপথগ্রহণ হয়ে গেল? অর্থাত্ ৫.১৭ মিনিটের মধ্যেই সমস্ত কিছু সারা হয়েছিল|’ মহারাষ্ট্র বিজেপির আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, বিজেপির সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে| এর পরেও রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা যায় কি? রাজ্যপাল যেদিন আস্থাভোটের দিন স্থির করেছেন সে দিনই আস্থাভোট হওয়া উচিত|
মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি চলাকালীন সোমবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, আমার কাছে আসল কাগজপত্র রয়েছে| তুষার মেহতা এদিন মোট তিনটি চিঠি তুলে ধরেন আদালতে, যার মধ্যে একটি হল দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের তরফে রাজ্যপালকে দেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার চিঠি| দ্বিতীয় চিঠিটি অজিত পওয়ারের লেখা| তাতে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের স্বাক্ষর ছিল| রাজ্যপালের দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানানোর তৃতীয় চিঠিও জমা পড়ে আদালতে|