নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ নভেম্বর৷৷ সমবায়ের উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন৷ গ্রামীণ মানুষের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নে সমবায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ অর্থনৈতিকভাবে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলার পাশাপাশি রোজগারের পথ সৃষ্টি করতে সমবায় সমিতিগুলিকে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে৷ সেই দিশায় রাজ্য সরকার কাজ করছে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/76204848_2496397203729012_259876990633377792_o.jpg)
বুধবার উদয়পুর টাউন হল-এ ৬৬-তম অখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত গোমতি জেলাভিত্তিক আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করে পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় এ-কথা বলেন৷
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকার সমবায় ক্ষেত্রগুলির উন্নয়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে৷ ত্রিপুরার সার্বিক বিকাশে কৃষি, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য চাষ উন্নয়নেও সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে৷ তিনি কৃষকদের কৃষি সহায়ক সামগ্রী সরবরাহ করার ক্ষেত্রেও সমবায় সমিতিগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন৷
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য সমবায় সমিতিগুলির উন্নতি করা৷ যে সকল ল্যাম্পস ও প্যাক্স লোকসানে চলছে সেগুলি পুনরুজ্জীবিত করতে হবে৷ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি গোমতি জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্বপন অধিকারী রাজ্যের জনগণকে বিভিন্ন সমবায়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান৷
অনুষ্ঠানে বিধায়ক বিপ্লবকুমার ঘোষ বলেন, সমবায় সমিতিগুলি যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে তার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে৷ অনুষ্ঠানে স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অধিকর্তা সুব্রত রায় সমবায়ের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ স্বাগত ভাষণ দেন সহ-সমবায় নিয়ামক বিমলকান্তি দাস৷ সভাপতিত্ব করেন উদয়পুর পিএমসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিক্রম দাস৷ অনুষ্ঠানে সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বত্তৃণতা প্রতিযোগিতায় ২ জনকে পুরস্কার, ২ জনকে কেসিসি কার্ড, ২ জনকে মাইক্রো এটিএম কার্ড তুলে দেন অতিথিগণ৷