এটিএম হ্যাক : বিদেশেও জাল বিস্তার করেছিল তুর্কির ওই দুই হ্যাকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ নভেম্বর৷৷ এটিএম হ্যাকারদের কীর্তি ফাঁস হতেই পুলিশের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে৷ শুধু ত্রিপুরা নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি সূদর শ্রীলঙ্কাতেও তারা এটিএম হ্যাকিংয়ের থাবা বসিয়েছিল৷ ত্রিপুরার সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কাতে তাদের এমনই গতিবিধি সামনে এসেছে৷ তবে, ওই চারজন হ্যাকারকে ত্রিপুরায় আনা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ কারণ, এটিএম জালিয়াতি ত্রিপুরা বাদে অন্যান্য রাজ্যে আরও বেশি পরিমাণে হয়েছে৷ ফলে, ওই চারজনকে কোন রাজ্যের পুলিশ হেফাজতে নেবে সেই প্রশ উঠেছে৷


ত্রিপুরা সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, এটিএম হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ধৃত দুই তুর্কির বাসিন্দা একই ধরনের অপরাধ ২০১৪ সাল থেকে করছেন৷ সূত্রের দাবি, ২০১৪ সালে তারা শ্রীলঙ্কায় একই ধরনের অপরাধ করেছে৷ শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছরে আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গেও তারা হ্যাকিংয়ের থাবা বসিয়েছে৷ ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাই পুলিশও তাদের খঁুজছে৷


তুর্কির ওই হ্যাকাররা প্রত্যেক জায়গায় এটিএম কার্ড ক্লোন করে হ্যাকিংয়ের জাল ছড়িয়েছে৷ এর মাধ্যমেই তারা মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছে৷ সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, তাদের কাছে ভুয়ো পাসপোর্ট মিলেছে৷ তারা ওই পাসপোর্টের সহায়তায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশে ঘোরাফেরা করেছে৷ সূত্রের দাবি, এখন পর্যন্ত কল্পনাতীত টাকা মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে হ্যাকিং করে লুটেছে৷ সূত্রের আরও দাবি, ত্রিপুরায় বিভিন্ন এটিএম হ্যাক করে টাকা লুট করার পর ওই ভারতীয় মুদ্রা আমেরিকান ডলারে পরিবর্তন করে নিয়েছে হ্যাকাররা৷ সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, তাদের কাছ েেথ, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, অনেকগুলি সিমকার্ড, ভুয়ো পাসপোর্ট এবং ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে৷


ত্রিপুরা সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ চারজন হ্যাকারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু, তাতে কতটা সফল হবে ত্রিপুরা সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা, যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ কারণ, ইতিমধ্যে অসম সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররাও কলকাতায় ওই চার হ্যাকারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিশ ও মুম্বাই পুলিশও তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইছে বলে সূত্রের দাবি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *