![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/Ministry-Of-external-affairs.jpg)
নয়াদিল্লি, ৭ নভেম্বর (হি.স.) : কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের ঠিক দু’দিন আগে শিখ পুণ্যার্থীদের পাসপোর্ট ইস্যুতে ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান প্রশাসন। ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুর গুরুদ্বারে আসা শিখ তীর্থযাত্রীদের পাসপোর্ট লাগবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
এই বিষয়ে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের কথার কোনও ঠিক নেই। মাঝে মধ্যেই পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছে তারা। কখনও বলছে পাসপোর্ট লাগবে। কখনও বলছে লাগবে না। পরিস্থিতি দেখে আমদের মনে হচ্ছে ওদের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে অন্য সংস্থাগুলির কোনও যোগাযোগ নেই। প্রথমেই এই বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী পাসপোর্ট লাগার কথা। এই চুক্তি পরিবর্তন করতে হলে উভয়পক্ষের সম্মতি লাগবে বলেই আমরা জানি।’
অথচ গত সপ্তাহেই ইমরান খান সরকার সুর নরম করে ভারতের দাবি মেনে নিয়েছিল। জানিয়েছিল, কর্তারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশকারী পুণ্যার্থীদের পাসপোর্ট ও ভিসা লাগবে না। শুধু ভোটার কার্ড দেখালেই হবে। কিন্তু এদিন পুরো উলটো কথা বলল পাকিস্তান। আর গফুরের এই ঘোষণায় বিপাকে পড়লেন ভারতের হাজার হাজার শিখ পুণ্যার্থীরা।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ নভেম্বর পাঞ্জাব-পাকিস্তান সীমানার কাছে কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের কথা। আর ১২ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সেজে উঠেছে কর্তারপুর গুরুদ্বার। সেখান যাওয়ার জন্য বহু ভারতীয় শিখ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু, তাঁদের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল ইমরানের সরকার।