মেধা বিদেশে যাচ্ছে না বরং এদেশে আসছে, দাবি হর্ষবর্ধনের

কলকাতা,৫ নভেম্বর (হি. স.): মেধা বিদেশে যাচ্ছে না, বরং এদেশে আসছে, বললেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষবর্ধন|  মঙ্গলবার  ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে তিনি এই মন্তব্য করেন|

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভব যেখানেই হোক না কেন, তা বিশ্বের যে কোনও জায়গাতেই প্রযুক্ত হতে পারে। কলকাতায় বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের প্রথম দিন একথা বললেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব গবেষণগার রয়েছে তা যে কোনও দেশের বিজ্ঞানীই ব্যবহার করতে পারেন। আবার ভারতের বিজ্ঞানীরাও অন্য দেশে গিয়ে গবেষণা করছেন। একক ক্ষমতায় যদি কিছু সম্ভব না হয়, তবে একাধিক দেশের সহযোগিতার মাধ্যমে তা সম্ভব।

ভারত থেকে এখন মেধা বিদেশে যাচ্ছে না, অর্থাৎ ব্রেন ড্রেন হচ্ছে না, উল্টে এ দেশে এই মেধা আসছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন  প্রতিবেশী দেশগুলির সমস্যা সমাধানেও বিজ্ঞানের সহায়তা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।  তা হলে জঙ্গি সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাই কি তিনি বলছেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভারত ও আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি প্রভৃতি চলে আসছে আবহমান কাল থেকে। তাই তাদের সমস্যার মধ্যেও অনেক মিল রয়েছে। সেইসব সমস্যাই মেটানো সম্ভব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে।” তিনি স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপরে জোর দেন।  

ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করছে, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষিতও করছে। সেই কারণেই প্রতিবছর এই বিজ্ঞান উৎসবে বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। এবারে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের মন্ত্রীরা এসেছেন। তাঁরা ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজও করতে চান।  তিনি বলেন, “যে গবেষণাই হোক না কেন, দেখতে হবে তা থেকে যেন সমাজের সাধারণ মানুষ সুফল পেতে পারেন। বিজ্ঞানেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে। এর অর্থ হল, সমাজের সমস্যা বোঝা এবং অন্য কোনও বিষয়ে গবেষণার আগে জোর দিতে হবে সেইসব গবেষণায়, আমাদের সমাজে যার আশু প্রয়োজন আছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করা।”

যুক্তিসঙ্গত ভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, যে কোনও সমস্যার সমাধানই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে করা সম্ভব। দিল্লির দূষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দূষণের মাত্রা ঠিক কতটা, তা থেকে কী ক্ষতি হতে পারে, সেকথাও বলা যাচ্ছে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই।

তিনি মনে করেন, এখন এ দেশে বিজ্ঞান একটা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, এই আন্দোলেন সামিল হয়েছেন দেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষও। দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে কৃষকরা যোগ দিয়েছে বলেও এদিন জানান হর্ষ বর্ধন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *