নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৩ নভেম্বর ৷৷ পুলিশি হেপাজতে উদয়পুরে মঙ্গল দাসের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের দিকে আঙুল উঠছে৷ রবিবার বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বে সিপিআইএম-এর এক প্রতিনিধি দল মৃত মঙ্গল দাসের বাড়িতে গিয়ে তার মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানান৷ পাশাপাশি ঘটনার তদন্তক্রমে দোষীদের শাস্তিও দাবি করেন৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/UDP-X-CM-1024x561.jpg)
গত ৩০শে অক্টোবর উদয়পুর পুলিশি হেপাজতে থাকা অবস্থায় উদয়পুর মহকুমার মাতাবাড়ি গাঁওসভার একনম্বর ওয়ার্ডের অমরনগর কলোনির বাসিন্দা মৃত কানাই দাসের ছেলে মঙ্গল দাস (১৯)কে রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ চুরির দায়ে গ্রেপ্তার করে গত ২৩শে অক্টোবর৷ ২৪শে অক্টোবর পুলিশ তাকে আদালতে তুললে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে৷ রিমান্ডে আনার পর গত ৩১শে অক্টোবর বিকাল চারটায় মঙ্গলের মা আরতী দাসকে রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ মঙ্গল অসুস্থ বলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে৷ এরই মধ্যে আরতী দাস গিয়ে দেখে ছেলেকে মর্গে নিয়ে গেছে৷
পরবর্তী সময়ে মঙ্গলের মা আরতী দাস জানান, ছেলেকে উদয়পুর ছনবনস্থিত শ্মশানে দাহ করা হয়৷ কিন্তু দাহ করার ব্যাপারে আরতী দাসকে পুলিশ জিজ্ঞাসাটুকুও করেনি৷ এনিয়ে উদয়পুর মহকুমায় ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ এই ঘটনায় মঙ্গল দাসের মা পুলিশি হেপাজতে অত্যাচারে তার ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন৷ এই ঘটনায় আরক্ষা প্রশাসনের দিকে সরাসরি অভিযোগ এনে শনিবার রাজ্যে পুলিশ মহানির্দেশকের কাছে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপিও প্রদান করে৷ রবিবার ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল মৃত মঙ্গলের বাড়িতে যান৷
সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সুধন দাস, বিধায়ক রতন ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক মাধব সাহা সহ সিপিআইএম দলের নেতা কর্মীরা৷ পরে সাংবাদিকদের কাছে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, মঙ্গল দাস পিতৃহারা গরিব ঘরের সন্তান৷ মা আরতী দাস অত্যন্ত গরিব৷ একজন নির্মাণ শ্রমিক৷ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি৷ পরিবারের পাশে উনার দল সবসময় থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি৷ এদিকে সিপিআইএমএল এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে৷