যুবতীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২ নভেম্বর৷৷ ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারবাসের সাজা দিয়েছে আদালত৷ সেই সাথে জরিমানাও করা হয়েছে৷


সংবাদে প্রকাশ, ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর গোমতী জেলার আর কে পুর থানার অধীন ২ নং ফুলকুমারী এলাকার এক যুবতীকে ওই এলাকার সঞ্জয় হুসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টা নাগাদ বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ ওই যুবতীকে বাড়ির কিছু দূরে একটি টিলার মধ্যে নিয়ে গিয়ে পরপর দুইবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবতী ঐদিন রাত দটা নাগাদ বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনা জানায়৷ অভিভাবকরা বিষয়টি জানার পর আর কে পুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করে৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে৷ কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পায়৷ তারপর সে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়৷ ২০১৮ সালে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন রাজ্যে ফিরে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করে৷ তারপর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া৷


আদালত আটজন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করেছে৷ বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক৷ আসামী আলমগীর হোসেনকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬(১) ধারা মোতাবেক সাত বছরের কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা৷ অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড৷ তাছাড়া ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৬ ধারায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা৷ অনাদায়ে আর ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক৷ দুটি সাজাই একসাথে চলবে বলে জানিয়েছেন বিচারক৷ এই মামলায় সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন আইনজীবী যোগেন্দ্র দাস৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *