নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর (হি.স.) : ভয়াবহ দূষণের কবলে রাজধানী নয়াদিল্লি। দূষণ প্রতিরোধে দিল্লি এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ‘হেলথ ইমারজেন্সি’ ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। অক্টোবর মাসের শেষের দিক থেকেই ধোঁয়াশায় মুখ ঢেকেছিল দিল্লির রাজপথ। দূষণে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল শহরবাসীর। এর মাঝেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে আগামী ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/Supreme-Court.jpg)
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মাণ বাড়ির কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই শীতের মরশুমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেকোনো ধরনের বাজি পোড়ানোও। বৃহস্পতিবারই বাতাসে দূষণের পরিমাণ আপৎকালীন পর্যায়ে এসে ঠেকে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
দিল্লি শহরকে এক কথায় ‘গ্যাস চেম্বার’ বলে সম্বোধন করেছেন কেজরিওয়াল। বাচ্চাদের দূষণ থেকে বাঁচাতে স্কুলে স্কুলে বিলি করা হচ্ছে মাস্কও। এমনিতেই দিওয়ালীতে বাজি ফাটানোয় দূষণের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়াও বছরের ঠিক সময়ে দিল্লির পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা, পাঞ্জাবে ধান কেটে পড়ে থাকা খড় জ্বালিয়ে দেন কৃষকরা। ফলে সেই পোড়া কালো ধোঁওয়ার মেঘ উড়ে আসে দিল্লির দিকে। প্রায় কয়েকদিন ধরেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রার পরিমাণ ছিল সহনমাত্রার থেকে বহুগুণ বেশি। এখনও পর্যন্ত বাতাসের মানের কোনও উন্নতি হয়নি।
উল্লেখ্য, এই প্রবল দূষণের শিকার হচ্ছেন মূলত সকালে কাজের জন্য বেরনো মানুষ এবং প্রাতঃভ্রমণকারীরা। অন্যদিকে এই দূষণের মাঝেই দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ। কিছুদিন আগেই প্র্যাকটিসে মাস্ক পড়ে ব্যাট করতে দেখা যায় বাংলাদেশি ক্রিকেটার লিটন দাসকে।