দিল্লির দুষণের জন্য প্রতিবেশি রাজ্য হরিয়ানা ও পঞ্জাবকে দুষলেন কেজরিওয়াল

নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর (হি.স.) : দিল্লির দুষণের জন্য সরাসরি প্রতিবেশি রাজ্য হরিয়ানা ও পঞ্জাবকে দুষলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার বিকেলে মোবাইলে ছবি দেখিয়ে নিজের দাবির পক্ষে যুক্তি খাঁড়া করেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী | তবে তাঁর এইসব কথা পাত্তা দিতে নারাজ পঞ্জাবের মন্ত্রী এসএস ধরমসোত।  

ভয়াবহ অবস্থা দিল্লির। শুক্রবার জনস্বাস্থ্য নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছে। বন্ধ করে দিতে হয়েছে স্কুল। কিন্তু তারমধ্যেও দূষণ নিয়ে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা অব্যাহত। শুক্রবার সকালেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দিল্লি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে প্রতিবেসী রাজ্যগুলিতে শস্যের অবশেষ জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর বিকেলে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে মোবাইল বের করে দুটি ছবি দেখান। দাবি কলেন প্রথম ছবিটি ৩০ সেপ্টেম্বরের, পরেরটি এখনকার। ৩০ সেপ্টেম্বরের ছবিতে দিল্লির আকাশ একেবারে পরিষ্কার নীল, আর এখনকার ছবিটিতে সেই আকাশই হয়ে গিয়েছে ধুসর।

এই ছবিদুটি দেখিয়ে কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুললেন, কী করে এক মাসে ছবিটা এতটা পাল্টে গেল? শস্যাবশেষ পোড়ানো ছাড়া আর নতুন কি কিছু ঘটেছে? পাশাপাশি এইবারের দীপাবলিতেও দিল্লির শিশুরা বিশেষ বাজি পোড়ায়নি বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, এদিনই তিনি একটি স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শিশুদের প্রশ্ন করে দেখেছেন মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ শিশু আতসবাজি ফাটিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ বিরোধী নেতারা নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুদের বাজি ফাটাতে উত্‍সাহিত করেছিলেন।

তবে তাঁর এইসব কথা পাত্তা দিতে নারাজ পঞ্জাবের মন্ত্রী এসএস ধরমসোত। তিনি বলেছেন, কেজরিওয়াল এরকম উল্টোপাল্টা কথা বলেই থাকেন। তাকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।

উল্লেখ্য, বায়ুদূষণের জেরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হল দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। এর জেরে দিল্লি ও সংল্গন এলাকাতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধের কথা জানিয়ে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *