ত্যাগ করার ভাবনা সমাজে ছড়িয়ে দিলে ভারত আরও এগিয়ে যাবে : উপমুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ অক্টোবর৷৷ জীবনে পরিপূর্ণতা লাভ করা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য৷ সমাজকে কিছুটা দিতে পারলেই পরিপূর্ণতা আসে৷ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের ২৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবং রজতজয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ-কথা বলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ তাঁর কথায়, বিদ্যালয় হচ্ছে ভারতের ভবিষ্যত তৈরির প্রতিষ্ঠান৷ সেখানে ভারতের ভবিষ্যত নাগরিক তৈরি হচ্ছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ত্যাগ করার ভাবনা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে ভারত আরও এগিয়ে যাবে৷


এদিন তিনি বলেন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা-ই হই না-কেন, সবচেয়ে বড় কথা হল ভালো মানুষ হওয়া, ভালো নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা৷ উপমুখ্যমন্ত্রীর কথায়, শিক্ষার সূচনা হয় প্রত্যেকের ঘর থেকে৷ কিন্তু এর কোনও শেষ নেই৷ যতদিন আমরা বাঁচি ততদিনই শিখি৷ তাঁর দাবি, কম্পিউটারের ভালো জ্ঞান থাকলেই বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলেই আধুনিক হয়ে গেলাম, বিষয়টা তা নয়৷ আধুনিকতা আসে চিন্তাধারার মধ্য দিয়ে৷


তিনি বলেন, ভারতে দীর্ঘ সময় মোঘল এবং ইংরেজরা রাজত্ব করলেও ভারতীয় সংসৃকতি স্বমহিমায় উজ্জ্বল রয়েছে৷ এটা সম্ভব হয়েছে সাধু সন্ত-মহারাজদের জন্যই৷ তাঁরা আছেন বলেই ভারতীয় সংসৃকতি সমস্ত ঝড়ঝাপটা সহ্য করে এগিয়ে চলেছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে সম্মান দেওয়া হয় ত্যাগীদের৷ ত্যাগ করার চিন্তাভাবনা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে ভারত আরও এগিয়ে যাবে৷ অন্যদিকে আমরা যদি মনে করি, শুধুই আমরা পাশ্চাত্যকে অনুসরণ করব তা-হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে, দাবি করেন তিনি৷


অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য পেশ করেন হিন্দু মিলন মন্দিরের সহসভাপতি গুরুপানন্দ মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বৃন্দাবন শাখার সভাপতি জগন্নাথজি মহারাজ৷ স্বাগত ভাষণ দেন প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের পরিচালন কমিটির সদস্য ডা. প্রবীর সাহা৷ বিদ্যালয়ের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল রত্না মজুমদার৷ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *