নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ অক্টোবর৷৷ শিক্ষাই হচ্ছে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি৷ সুশিক্ষা শুধুমাত্র একজন সুনাগরিকই তৈরি করে না, একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিতও করে৷ সদর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার আগরতলা টাউন হল-এ আয়োজিত মহকুমাভিত্তিক জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এ-কথাগুলি বলেন৷

তাঁর কথায়, শিক্ষা অর্জনে জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের আরও আগ্রহী হতে হবে৷ কারণ এখন প্রতিযোগিতার যুগ৷ প্রতিযোগিতার যুগে নিজেকে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে৷ সেজন্য একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সকলকে শিক্ষা অর্জনে ব্রতী হতে হবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, সরকার এখন জনজাতিদের শিক্ষা অর্জনের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে৷
উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতে গেলে সংখ্যালঘু হওয়াটা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না যদি তারা সঠিক শিক্ষায় ও সঠিক লক্ষ্যে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷ তিনি বলেন, শিক্ষা অর্জনের জন্য চাই দৃঢ় মনোবল, একাগ্রতা এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সুদৃঢ় প্রতিজ্ঞা৷ পাশাপাশি শুধুমাত্র শিক্ষা অর্জন করলেই হবে না, একজন ভালো মানুষও হতে হবে৷ তবেই একজন ব্যক্তির শিক্ষা অর্জন সম্পর্ণ হয়৷
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী মেবারকুমার জমাতিয়া বলেন, শুধুমাত্র পাশের জন্য পড়াশুনা নয়৷ পড়াশুনা করতে হবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য৷
তিনি আগামীদিনে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রতিটি জনজাতি ছাত্রছাত্রীকে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করে বলেন, এই মেধাবৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্য হল সকলকে পড়াশুনায় আরও মনোযোগী করে তোলা৷ আগামীদিনে রাজ্যে আইএএস, টিসিএস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপদগুলিতে জনজাতি ছাত্রছাত্রীরা স্থান করে নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ সেই সাথে শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা অর্জনের বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী৷
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য পেশ করেন উপজাতি কল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা টিংকুমা ডার্লং, পশ্চিম জেলা উপজাতি কল্যাণ কার্যালয়ের আধিকারিক বুধুলিয়ান রাঙ্খল এবং বিজয়কুমার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অনামিকা দেববর্মা৷
অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন জনজাতি বোর্ডিং হাউজের চেয়ারম্যান বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা৷ উপস্থিত ছিলেন জনজাতি বোর্ডিং হাউজের ভাইস চেয়ারম্যান হিমানী দেববর্মা৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সদর মহকুমাশাসক অসীম সাহা৷ আজকের অনুষ্ঠানে মহকুমার ৩২টি বিদ্যালয়ের ১,২৮০ জন উপজাতি ছাত্রছাত্রীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে৷ মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিগণ ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এমন ১৬ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে মেধাবৃত্তি স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দেন৷

