হিন্দু সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে বিএইচইউ : অমিত শাহ

বারাণসী, ১৭ অক্টোবর (হি.স.) : হিন্দু সংস্কৃতিকে অক্ষুণ্ণ রেখে, তা এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)।  কয়েকশো বছরের দাসত্বের পরে হৃত গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কাজ ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে সম্ভব নয়, তা কেবল মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই করে দেখাতে পারে। বৃহস্পতিবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আলোচনা সভায় এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এদিন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গুপ্তবংশের বীর : স্কন্ধগুপ্ত বিক্রমাদিত্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উদ্বোধন করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি, ভাষা, শিল্পকলা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নগর স্থাপনের পরম্পরাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে গিয়েছেন স্কন্ধগুপ্ত । ভারতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশবাসীর মনে যে শান্তি রয়েছে তার কারণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মহাভারতের দুই হাজার বছর পরে ৮০০ বছরের কালখন্ডে দুইটি প্রধান শাসন ব্যবস্থার কথা দেশবাসী জানে। মৌর্য্য ও গুপ্ত বংশ। এই দুইটি বংশই সেই সময়কার বিশ্বে ভারতীয় সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চ পর্যায় নিয়ে গিয়েছিল। বৈশালী ও মগধের বিরোধিতা সরিয়ে অখন্ড ভারত গড়ার দিশা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল গুপ্তবংশ। চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য ইতিহাসে সব থেকে বেশি চর্চিত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাঁর প্রতি ইতিহাস অবিচারও করেছে। তাঁর সমরনীতি নিতে নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে তেমন গবেষণা তাঁর শাসন ব্যবস্থা নিয়ে হয়নি।  

অমিত শাহ আরও বলেন, বহু বিদ্যান, বেদ বিশেষজ্ঞ, জ্যোর্তিবিজ্ঞানীর জন্ম দেওয়া  তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভাঙচুর চালানো হয়, তখন আক্রমণকারিদের রোখার জন্য দশ বছর পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছিলেন স্কন্ধগুপ্ত। হুনদের শেষ করে ছিলেন তিনি। অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন ভারতবাসী আর কতদিন পর্যন্ত ইংরেজদের লেখা ইতিহাস পড়বে। ইতিহাস পুনরায় লেখার সময় এসেছে। সেই দায়িত্ব দেশবাসী এবং ইতিহাসবিদদের নিতে হবে। ইতিহাসকে সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন। কাশ্মীরকে আক্রমণকারিদের হাত থেকে বাঁচিয়ে স্বাধীন করেছিলেন স্কন্ধগুপ্ত। কিন্তু এই বড় ঘটনা ইতিহাসের কোথাও তেমন কোনও উল্লেখ নেই। স্কন্ধগুপ্ত সম্পর্কে ১০০ পাতার বই চাইলেও পাওয়া যাবে না। বীর সাভরকর না থাকলে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের কথাও দেশবাসী জানতে পারত না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ ফের একবার হৃত গৌরব উদ্ধার করতে বদ্ধপরিকর। গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সম্মান বাড়িয়েছেন তিনি।