নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ অক্টোবর৷৷ ত্রিপুরায় পণের দায়ে গৃহবধূ নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে৷ এবারের ঘটনা সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ায়৷ এক গৃহবধূকে অগ্ণিদগ্দ করে হত্যার চেষ্টা করেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা৷ এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা৷ বর্তমানে ওই গৃহবধূ জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন৷ রাজ্যে বধূ নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়ছে৷
অভিযোগ, সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ায় শুক্রবার রাতে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন৷ ওই গৃহবধূর নাম মোহনা আক্তার৷ তার স্বামীর মেটিয়ন মিঞা সোনামুড়ায় অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে কর্মরত৷
জানা যায়, তিন বছর আগে সামাজিক প্রথা মেনে নিয়ে মেলাঘরের মোহন আক্তারের বিয়ে হয়েছিল সোনামুড়ার মেটিয়ন মিঞার সঙ্গে৷ তাদের বর্তমানে একটি সন্তান রয়েছে৷ বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই গৃহবধূর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়৷ বিশেষ করে শাশুড়ি ও দেবর তার উপর অধিক পরিমাণে নির্যাতন চালাতো বলে অভিযোগ৷ এরই শেষ পরিণতি ঘটে শুক্রবার রাতে৷ তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূর মা৷
এই ঘটনায় গৃহবধূর মা থানায় অভিযুক্তদের নামধান উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ এদিকে পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করেছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি৷