গুয়াহাটি, ৯ অক্টোবর (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে এম ৭৭৭ হাওইতজার কামান। এই কামান আফগানিস্তান এবং ইরাক যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সূত্র এ-খবর দিয়ে জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই এম ৭৭৭ আলট্রা-লাইট এম হাওইতজার কামান অসমের সীমান্ত সংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং, কামেং এবং ওয়ালঙে সংস্থাপন করা হবে। সূত্রটি জানিয়েছে, অরুণাচল প্ৰদেশে অবস্থিত ভারতীয় সেনার আৰ্টিলারি বাহিনীকে ইতিমধ্যে এম ৭৭৭ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত প্ৰশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। অরুণাচল প্ৰদেশ ছাড়াও চীন সীমান্তবর্তী লাদাখে মোট ১৪৫টি এম ৭৭৭ হাওইতজার কামান সংস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার প্ৰায় সাতটি রেজিমেন্টের অধীনে এই কামানগুলো পরিচালিত হবে, খবর সূত্রের।
সেনার ওই সূত্রের বক্তব্য, ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলিতে ইতিপূৰ্বে বোফর্স কামান ব্যবহার হলেও দুৰ্গম এলকায় এম ৭৭৭ হাওইতজার কামান পরিবহণের ক্ষেত্রে অধিক সহজতর। তাছাড়া ‘লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’-এ হাওইতজার কামান বিমান কিংবা হেলিকপ্টারে পরিবহণ করা যায়। ফলে অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমান্তে সড়ক যোগাযোগ শূন্য পাহাড়ি এলাকায় অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে বায়ুসেনার দুই ইঞ্জিন-বিশিষ্ট ‘শিনুক’ হেলিকপ্টার দিয়ে হালকা এই কামান নেওয়া হবে, বলেছে সূত্ৰটি। তাই এই হালকা কামান পরিবহণের জন্য অসমের দিনজান এলাকায় একটি ‘শিনুক’ ইউনিটও স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চীন ঘেঁষা বিজয়নগরে রাজ্যের অষ্টম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডকে এএন-৩২ যুদ্ধবিমানের অবতরণ করানো হয়েছে। যৌথভাবে অষ্টম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন এওসি ইনচার্জ ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড এয়ার মার্শাল আরডি মাথুর এবং জিওসি ইনচার্জ ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। সম্প্রতি অরুণাচল প্ৰদেশে ‘হিমবিজয়’ শীর্ষক মাউন্টেন স্ট্রাইক অনুশীলন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘হিমবিজয়’ এখন পর্যন্ত রাজ্যের সৰ্ববৃহৎ তুষারাবৃত পাহাড়ি অনুশীলন। এই অনুশীলনে চীন আপত্তি তুলেছে বলে জানা গেছে।

