নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ অক্টোবর৷৷ দুগর্োৎসবের প্রাক্কালে রেগার মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েত সচিবকে তালাবন্দি করলেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা৷ তবে আগামীকাল শনিবার মজুরি প্রদানের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে বিক্ষুব্ধ রেগা শ্রমিকরা পঞ্চায়েত সচিবকে তালামুক্ত করেন৷
ঊনকোটি জেলা সদর কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পুজোর প্রাক্কালে এমজিএনরেগার মজুরি না পাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা৷ আজ শুক্রবার তাঁরা পঞ্চায়েতের সচিব ইয়ামির আলি-সহ আরও দু’জন জিআরএসকে অফিসের ভিতরে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেন৷ রেগা শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুজোর প্রাক্কালে পঞ্চায়েত এলাকায় রেগার কাজ করার পর সচিব ইয়ামির আলি পঞ্চায়েতের বড় অংশ শ্রমিকদের মজুরি মিটিয়ে না দিয়ে কয়েকজনকে মজুরি দিয়েছেন৷ তাঁদের আরও অভিযোগ, যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের বঞ্চিত করে যাঁরা কাজ করেননি তাঁদেরকে মজুরি দেওয়া হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি কংগ্রেস এবং সিপিআইএমদুই দলের পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত৷ এদিন প্রায় দু’ঘণ্টা তালাবন্দি থাকার পর পঞ্চায়েত সচিব ইয়ামির আলি ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বলেন, শনিবার মজুরির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে৷ এই আশ্বাস পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তালা খুলে দেন৷ গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ইয়ামির আলির কারণেই একাংশ শ্রমিক মজুরি পাননি৷ এছাড়া গ্রামবাসীরা আরও অভিযোগ করেন যে, পঞ্চায়েত সচিব ইয়ামির আলি প্রায়ই মদমত্ত অবস্থায় অফিসে আসেন৷ আজও তিনি পঞ্চায়েত অফিসে মদমত্ত অবস্থায় ছিলেন৷ শ্রমিকরা কেন মজুরি পেলেন না এই প্রশ্ণের উত্তরে একেকবার একেক রকম উত্তর দিচ্ছেন৷ শ্রমিকরা বিদ্রুপ করে বলেন, তিনি এতটাই মদমত্ত হয়ে রয়েছেন, সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারছেন না৷
এদিন উত্তরের সচিব দাবি করেন, পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের ৪১ জন শ্রমিক কাজ না করে মজুরির দাবি করছেন, তাই মজুরি দেওয়া হয়নি৷ আবার বলেন, সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে৷ কিন্তু কাজ করে এখন কেন মজুরি দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ণের জবাব তিনি এড়িয়ে গেছেন৷ অথচ শুধু পাঁচ নং ওয়ার্ডেই নয়, পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের শ্রমিকরা মজুরি পাননি৷ এছাড়া ইয়ামির আলি শনিবার মজুরি দেবেন বলে যা ঘোষণা করেছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷ কারণ, শনিবার থেকে সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাঙ্কে পুজোর ছুটি ঘোষণা হয়েছে৷ ফলে রেগা শ্রমিকদের মজুরি প্রদান নিয়ে সংশয় থাকছেই৷