ষষ্ঠীর রাতেই রাজপথে ভীড়

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ অক্টোবর৷৷ ষষ্ঠীর রাতেই রাজধানী আগরতলা শহরে রীতিমতো জনঢল নামে৷ প্যান্ডেলগুলিতে দর্শনার্থীদের ভীড় লক্ষ করা গিয়েছে৷ আলোর রোশনায় মায়াবী রূপ নেয় রাজধানী আগরতলা৷ এদিন আগরতলা শহরের প্রায় সব প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের দন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়৷ তবে কিছু প্যান্ডেলের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি৷ রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা৷


এদিকে, শহরে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ট্রাফিক বিভাগের তরফ থেকেও তৎপরতা চালানো হয়েছে৷ বিভিন্ন ট্রাফিক পোস্টে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা যানবাহন চালকদের হাতে সচেতনতামূলক প্রচার পত্র বিলি করেছেন দিনভর৷ তাছাড়া বিগ বাজেটের পুজো মন্ডপের সামনে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ক্লাবগুলির তরফ থেকেও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে৷


বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব গুলির মধ্যে একটি অন্যতম উৎসব হল দুর্গা পূজা৷ সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে ‘দুর্গাষষ্ঠী’, ‘মহাসপ্তমী’, ‘মহাষ্টমী’, ‘মহানবমী’ ও ‘বিজয়াদশমী’ নামে পরিচিত৷ আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’৷ দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া৷ দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা৷ এই দিন হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়৷ তিথি অনুযায়ী শুক্রবার দুর্গাষষ্ঠী৷

এইদিন বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ গুলিতে ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠী পূজা৷ তিথি অনুযায়ী এইদিন দুপুর ২ টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী পূজা করা যাবে৷ শনিবার বিকাল ২ টা ৮ মিনিট পর্যন্ত সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান এক পুরহিত৷ শুক্রবার পুরহিতের মন্ত্র পাঠের মধ্যদিয়ে সাঙ্গ হয় ষষ্ঠীপূজা৷ ষষ্ঠীপূজা উপলক্ষ্যে এইদিন সকাল থেকে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ গুলিতে ভিড় জমান ভক্তপ্রান মানুষ৷ পূজা শেষে সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷


রাজধানীর দক্ষিন জয়নগরস্থিত মুক্ত প্রান সংঘের উদ্যোগে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এলাকার দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়৷ এই বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত সহ ক্লাবের পদাধিকারিরা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা এলাকার দুস্থদের হাতে বস্ত্র তুলে দেন৷ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত পূজার দিন গুলি সকলকে শান্তিপূর্ণ ভাবে কাটানোর আহ্বান জানান৷ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কেউ যেন শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট না করে তার জন্যও তিনি আহ্বান জানান৷ এছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় নানা সামাজিক কর্মসূচীর আয়োজন করেছে শারদোৎসব উপলক্ষে৷