নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ক্যাগ রিপোর্টে পূর্ত দপ্তরে অনিয়মের বিষয়টি ত্রিপুরা বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটি খারিজ করে দিয়েছে৷ মূলত, পূর্ত দপ্তরের জবাব এবং ক্যাগ রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই অনিয়মের বিষয়টি তুলে দিতে সম্মত হয়েছে কমিটি৷ তাই, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে এখন ভিজিল্যান্স তদন্তের কোন সুযোগ নেই৷ ২০০৮ সালে পূর্ত দপ্তরে ৮০০ কোটির দুর্নীতির ভিজিল্যান্স তদন্ত প্রসঙ্গে এই দাবি করেন প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী তথা বিরোধী উপনেতা বাদল চৌধুরী৷ তাঁর কথায়, পাবলিক একাউন্টস কমিটির সমস্ত সদস্যদের সম্মতিতেই ক্যাগ রিপোর্টে অনিয়মের বিষয়টি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ সে-ক্ষেত্রে ওই বিষয় নিয়ে আলোচনার কোন সুযোগ থাকে না, দৃঢ়তার সাথে বলেন তিনি৷ তাতে, বাদলবাবু দুর্নীতির দায় থেকে মুক্ত হতে পারবেন বলেই মনে করছেন৷

ত্রিপুরার প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী উপনেতা বাদল চৌধুরী আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ত কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভিজিল্যান্স তদন্ত চলছে৷ ২০০৮ সালে পূর্ত কাজ বন্টনে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তিনি বলেন, ১০ বৃদ্ধি হিসাবে নিয়মমাফিক দরপত্র আহ্বান করতে হয়৷ সে-মোতাবেক মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল৷ তাঁর দাবি, পূর্ত দপ্তরের কাজে কোন অনিয়ম হয় নি৷ সমস্ত কাজ কেন্দ্রীয় আইন মেনেই হয়েছে৷
এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরা বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটি ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থ বছর পর্যন্ত পূর্ত দপ্তরের সমস্ত কাজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে৷ ক্যাগ রিপোর্টের সাথে দপ্তরের ব্যাখ্যা মিলিয়ে দেখেছে৷ তাতে, পাবলিক একাউন্টস কমিটি ২০০৮ সালের পূর্ত দপ্তরের কাজের ক্যাগ রিপোর্টে অনিয়মের বিষয়টি রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেনি৷ তাই, কমিটি ওই বিষয়টি তুলে দেওয়ার পক্ষে সর্ব সম্মত হয়েছে৷
বাদলবাবু বলেন, ওই কমিটির চেয়ারম্যান ভানুলাল সাহা৷ কিন্তু ওই কমিটিতে বিজেপি এবং আইপিএফটি বিধায়করাও রয়েছেন৷ তিনি জানান, বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, বিধায়ক দিলীপ কুমার দাস, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক অতুল দেববর্মা, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা, বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং এবং বিধায়ক বাদল চৌধুরী ওই কমিটির সদস্য৷ ফলে, সকলের সম্মতিতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি৷
পাবলিক একাউন্টস কমিটিতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তার উদর্ে ভিজিল্যান্স তদন্তের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না৷ তাঁর দাবি, বাজার গরম করার জন্যই ভিজিল্যান্স তদন্ত দেওয়া হয়েছে৷ তবে, তদন্তে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করছেন বলেন জোর গলায় দাবি করেছেন৷ তার কথায়, পাবলিক একাউন্টস কমিটির রিপোর্ট গত ৩ সেপ্ঢেম্বর ত্রিপুরা বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে৷ ওই রিপোর্ট ত্রিপুরা বিধানসভা গ্রহণ করেছে৷ ফলে এখন সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ভিজিল্যান্স বা অন্য কোন তদন্ত সম্ভব নয়৷ সংসদীয় ব্যবস্থায় ওই সুযোগ নেই, দৃঢ়তার সাথে বলেন তিনি৷

