চেন্নাই, ৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ঈশ্বর বিশ্বাসে যেমন সকলের অধিকার রয়েছে, ঠিক তেমনই এবার ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না থাকাও মৌলিক অধিকার বলে জানিয়ে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টে শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, সমাজ সংস্কারক পেরিয়ার ই ভি রামস্বামীর অনুগত এবং দ্রাবিড়া কাজাগাম-এর সদস্যদের সম্পূর্ণ মৌলিক অধিকার রয়েছে ঈশ্বর এবং ধর্মের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার। রায় দানের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টে বিচারপতি এস মণিকুমার এবং সুব্রাহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “মামলাকারীর যদি অধিকার থাকে ভারতীয় সংবিধানের ১৯ ধারা অনুযায়ী ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং ধর্ম সম্পর্কে নিজের মতপ্রকাশের, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে লালাই সিং যাদব মামলার উদাহরণ তুলে আমরাও বলছি পেরিয়ার ই ভি রামস্বামীর অনুগত এবং দ্রাবিড়া কাজাগাম-এর সদস্যদেরও ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ অধিকার দিয়েছে ঈশ্বরকে অস্বীকার করার।”
১৯৬৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সমাজ সংস্কারক পেরিয়ার ই ভি রামস্বামী জীবিত থাকাকালীন ত্রিচিতে তাঁর একটি মূর্তি উন্মোচিত হয়। উদ্বোধন করেছিলেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী সি এন আন্নাদুরাই। তাঁর সেই মূর্তির নিচে লেখা হয়েছিল, “ঈশ্বর বলে কেউ নেই, ঈশ্বরের কোনও অস্তিত্বই নেই। যে ঈশ্বরের জন্ম দিয়েছে সে ভীষণই বোকা। যে ঈশ্বরের প্রচার করেছে সে নীতিবিরহিত এবং যে ঈশ্বরের আরাধনা করে সে বর্বর, আদিম।” মামলাকারী এম দেইভানয়াগমের দাবি ছিল, “এই ধরনের আক্রমণাত্বক এবং আপত্তিকর মন্তব্য পেরিয়ার কোনও দিনও করেননি এবং তাঁর মৃত্যুর পর এইসব কথা লেখা হয়েছিল মূর্তির নিচে।” দ্রাবিড়া কাজাগাম-এর সভাপতি মামলাকারীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, “থানথাই পেরিয়ার আগে থেকেই বুঝেছিলেন, তাঁর মূর্তির নিচে এই কথাগুলি লেখা না হলে কিছু বছর পর তাঁকেই ঈশ্বর জ্ঞানে মানুষ পুজো করা শুরু করবে। সেই জন্যেই এই কথাগুলি তিনি বলে গিয়েছিলেন।”