
নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ আমতলি থানার পুলিশ আমতলি নাকা পয়েন্টে একটি মারুতী গাড়ি আটক করে এক মহিলাকে তল্লাশি চালিয়ে ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে৷ উদ্ধারকৃত ব্রাউন সুগারের পরিমাণ ১০ গ্রাম৷ এছাড়া ১৪০টি খালি কৌটা উদ্ধার হয়েছে৷ এই ঘটনায় মহিলা সহ গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ মহিলার নাম রঞ্জিতা ঘোষ বণিক এবং গাড়ির চালকের নাম মরণ শীল৷
রাজ্য সরকার রাজ্যকে নেশামুক্ত করার জন্য কঠোর মনোভাব গ্রহণ করলেও নেশা কারবারীরা নয়া নয়া কৌশলে তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে৷
মহিলাদেরকেও নেশা কারবারে যুক্ত করছে নেশা কারবারীরা৷ গতকাল রাতে আমতলি থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে আমতলি নাকা পয়েন্টে একটি মারুতী গাড়ি আটক করে৷ গাড়িটির নম্বর টিআর০৩এল-০৫৪১৷ ওই গাড়িতে এক মহিলা ছিল৷ মহিলার নাম রঞ্জিতা ঘোষ বণিক৷ তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ১০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে৷ এছাড়া ১৪০টি খালি কৌটাও পাওয়া গেছে৷ ওই গাড়ির চালক মরণ শীলকেও আটক করা হয়৷ সে বিএসএফ থেকে চাকুরিচ্যুত জওয়ান৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মদতেই ওই মহিলা ব্রাউন সুগার বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল৷
মহিলার বাড়ি মেলাঘর থানা এলাকার কামরাঙ্গাতলি৷ মরণ শীলের বাড়ি উদয়পুরের দক্ষিণ মির্জা এলাকায়৷ তাদের দু’জনকেই এনডিপিএস ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এদিকে রাতেই মির্জায় মরণ শীলের বাড়িতে এবং মেলাঘরের কামরাঙাতলিতে রঞ্জিতা ঘোষ বণিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ তবে সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি৷ আমতলি থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগরতলা কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে ওই ব্রাউন সুগাব নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ তাদের দু’জনকেই পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ৷ এই চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমতলি থানার ওসি৷
রাজ্য সরকার ও আরক্ষা প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের পরও রাজ্যে যেভাবে নেশা পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক৷ নেশামুক্ত রাজ্য গড়তে হলে প্রশাসনকে আরও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে হবে৷
এদিকে, জেনি দেববর্মা,দিবান্ত দেববর্মা নামে দুই যুবক গ্রেপ্তার টাকারজলা থানার পুলিশের হাতে৷ আজ রাত ১০ টায় ওসি অজয় দেববর্মা গ্রেফতার করে টাকারজলা থেকে৷
৩৫ টি ব্রাউন সুগার কৌটা, ১১ টি ইয়াবা ছিল তাদের সঙ্গে৷ গত বুধবার ড্রাগস কারবারি সুধীর দেববর্মা, ধনঞ্জয় দেববর্মাকে গ্রেফতার করেছিল টাকারজলা থানার পুলিশ৷ ওরা বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদে একে একে বেরিয়ে আসছে অন্য নেশা কারবারিদের নাম৷ এর ভিত্তিতে আজ অভিযান৷ এবং গ্রেফতার জেনি, দিবান্ত৷ জালে উঠবে সবাই৷ জানান ওসি অজয় দেববর্মা৷

