নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ আগস্ট৷৷ নেশা কারবারিদের সাথে সখ্যতা এবং সহযোগিতার জন্য ত্রিপুরা পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল৷ আদালত তাঁকে তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে৷
বিশালগড় থানায় কর্মরত অবস্থায় নেশা কারবারিদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল সাব ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ দাসের, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাদক পাচারে নেশা কারবারিদের তিনি মদত দিতেন৷ বদলে তিনি প্রচুর টাকা কামিয়েছেন৷ পুলিশের দাবি, বিশালগড়ের কুখ্যাত নেশা কারবারি টিটু আহমেদের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে৷ তাই, বাংলাদেশে গাঁজা ও ফেন্সিডিল পাচারে টিটু আহমেদকে তিনি সহযোগিতা করেছেন৷ সম্প্রতি কলকাতায় পালিয়ে যাওয়ার সময় আগরতলা বিমানবন্দর থেকে পুলিশ টিটু আহমেদকে গ্রেফতার করেছিল৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সমগ্র সিপাহিজলা জেলায় মাদক পাচারচক্রের তথ্য হাতে আসে পুলিশের৷
বিশালগড় থানার পুলিশের দাবি, টিটু আহমেদ জেরায় স্বীকার করেছে, সাব ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ দাস তাকে নানাভাবে সহায়তা করতেন৷ এর পরই পুলিশ ওই সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতারে তৎপর হয়৷ সম্প্রতি তাঁকে খোয়াই থানায় বদলি করা হয়েছিল৷ রবিবার গভীর রাতে ডিএসপি ডিআইবি অলক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম তাঁকে খোয়াই কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করেছে৷ বিশালগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, রাত তিনটে নাগাদ তাঁকে বিশাগড় থানায় আনা হয়েছে৷
রাতে তাঁকে জেরা করা হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৮৪, ১২০(বি) এবং দুর্নীতি দমন আইনের ৭/১৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ আজ তাঁকে বিশালগড় দায়রা জজ আদালতে সোপর্দ করে ৬ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু, আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে৷
পুলিশের দাবি, তাঁকে জেরা করে আরও অনেক রাঘব বোয়ালদের জালে তোলা সম্ভব হবে৷ কারণ, ওই মাদক পাচারচক্রের সাথে হেভিওয়েট নেতাদের পাশাপাশি জনৈক আইনজীবীর নামও জড়াবে বলে পুলিশের অনুমান৷