![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/04/Tripura.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ আগস্ট৷৷ পুর নিগম এলাকায় বাড়ছে সম্পত্তি কর৷ তবে, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের স্বস্তি দিয়ে কমছে সম্পত্তি কর৷ এরই পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স ফি সংগ্রহে নীতি বদল হয়েছে৷ রাজ্য মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে৷ মূলত, পুর আইন ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে সংশোধনীতে সায় দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা৷ কারণ, বাম জমানায় পুর আইনে ত্রুটি সংশোধন জরুরি ছিল৷ তাই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
শুক্রবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সম্পত্তি কর সংগ্রহে রাজ্যে কুড়িটি নগর সংস্থায় একাধিক নিয়ম রয়েছে৷ আগরতলা পুর নিগমে চারটি জোন এবং পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েতে ২টি জোনে বিভক্ত করে সম্পত্তিকর সংগ্রহ করা হচ্ছে৷
বাম আমলে ওই নিয়ম ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলেই বর্তমান সরকার মনে করেছে৷ তাই, পুর আইন সংশোধন করা হয়েছে, জানান তিনি৷ শ্রী নাথের বক্তব্য, পূর্বতন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুর নিগম এলাকায় সম্পত্তি করের তুলনায় পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত এলাকায় সম্পত্তি করের পরিমান অধিক ছিল৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, আমবাসা ও মোহনপুর পুর পরিষদের বাসিন্দারা ৬২ টাকা এবং ৬০ টাকা প্রতি স্কয়ার ফিট দরে সম্পত্তি কর দিচ্ছেন৷ সেই তুলনায় পুর নিগম এলাকায় সর্বোচ্চ ‘এ’ জোনের বাসিন্দারা ৫০ টাকা প্রতি স্কয়ার ফিট দরে সম্পত্তি কর দিচ্ছেন৷ তার দাবি, বামফ্রন্ট সরকার পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের সাথে বৈষম্য মূলক আচরণ করেছে৷
এদিন তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুর নিগমের ‘এ’ জোনের বাসিন্দারা ৫০ টাকার বদলে ৬০ টাকা, ‘বি’ জোনের বাসিন্দারা ৪৫ টাকার বদলে ৫০ টাকা এবং ‘সি’ জোনের বাসিন্দারা ৩৫ টাকার বদলে ৪০ টাকা প্রতি স্কয়ার ফিট দরে সম্পত্তি কর দেবেন৷ ‘ডি’ জোনের বাসিন্দাদের জন্য কর পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি৷ ওই জোনের বাসিন্দারা ৩৫ টাকা দরেই সম্পত্তি কর দেবেন৷ এদিন তিনি আরো জানিয়েছেন, পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েত এলাকার ‘এ’ ও ‘বি’ জোনের বাসিন্দারা এখন থেকে ৫০ টাকা ও ৪৫ টাকা প্রতি স্কয়ার ফিট দরে সম্পত্তি কর দেবেন৷
এদিকে, ট্রেড লাইসেন্সের বাৎসরিক ফি প্রদানে স্বচ্ছতা এবং সাম্যতা বজায় রাখতে গিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভা বিভিন্ন স্তর নির্ধারনে অনুমোদন দিয়েছে৷ আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্ষিক টার্নওভারের ০.২ শতাংশ দরে বিভিন্ন স্তরে ট্রেড লাইসেন্সের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে৷
তাঁর কথায়, বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার নিচে, ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা, ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা, ২০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা, ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা, ১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকা, ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা, ৫ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা এবং ১০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকা বার্ষিক টার্নওভারের স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে৷ নির্দিষ্ট স্তরে টার্নওভারের ভিত্তিতে ট্রেড লাইসেন্স ফি সংগ্রহ করা হবে৷ তাঁর দাবি, ইতিপূর্বে রাজ্যে ট্রেড লাইসেন্স ফি সংগ্রহে কোন স্বচ্ছ নীতি ছিল না৷ বরং, ছোট, মাঝারি এবং বড় সংস্থা এই তিনটি স্তরের ভিত্তিতে ট্রেড লাইসেন্স ফি সংগ্রহে স্থির নিয়ম চালু ছিল৷ ওই নীতিতে বদল আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
এছাড়া, রাজ্য মন্ত্রিসভা ৯৩টি নথিভুক্ত পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নে প্রতি কুইন্টাল মাছে বাৎসরিক ৩০০ টাকা করে বাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতে আদায় করার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে৷ আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যে ২৪ হাজার ৩১৭ মেট্রিকটন মাছ আমদানি করা হয়৷