![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/11/Ratan-Lal-Nath.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ আগস্ট৷৷ রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনে বিনামূল্যে জমি প্রদান, লক্ষ্য স্কিমের অধীন মেধাবৃত্তি চালু এবং সরকারী মেডিক্যাল কলেজের অধিকর্তা, যুগ্ম অধিকর্তা, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকদের সপ্তম ইউজিসি স্কেল প্রদানের সিদ্ধান্তে আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মহাকরণের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি জানাতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, রাজ্যে রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার দেবেন্দ্রনগর মৌজার চন্দ্রপুর তহশীলের অধীনে ৪ কানি (১৬৮ একর) জমি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্েন্টাল (এন সি ডি সি)-কে বিনামূল্যে প্রদান করার জন্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়৷ তিনি জানান, ২০১৭ সালে এন সি ডি সি-র সঙ্গে রাজ্য সরকারের মৌ স্বাক্ষরিত হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেটি কার্যকর হয়নি৷ কিন্তু, বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে বিষয়টি নজরে এলে রাজ্যে রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের গুরুত্ব অনুধাবন করেই মন্ত্রিসভা আজ এই সিদ্ধান্ত নেয়৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র মূলত সংক্রমণজনিত জটিল রোগ নির্ণয় করার জন্য কাজ করে৷
এদিন তিনি আরো জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের ইউ পি এস সি পরীক্ষার্থী যারা আই এ এস, আই পি এস, আই এফ এস, আই আর এস ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য রাজ্যের বাইরে কোচিং নেবেন তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর ’লক্ষ্য’ নামে যে বিশেষ স্কলারশিপ চালু করেছে তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্পে যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকার চেয়ে কম সেই সব পরিবারের ছেলে-মেয়েরাই এই সুুযোগ পাবেন৷ তিনি জানান, যে সকল পরীক্ষার্থীরা প্রিলিমিনারি পর্যায়ে সফল হয়ে মেইন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন তাদেরকে ১ লক্ষ টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে৷ মেইন পরীক্ষায় সফল হয়ে যারা মৌখিক পরীক্ষা দেবে তাদের দিল্লীতে থাকা খাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়৷ এই সুুযোগ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ২ বার পাবে৷ এই বছর রাজ্য থেকে ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ইউ পি এস সি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন৷
এছাড়াও আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধিকর্তা, যুগ্ম অধিকর্তা, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক সহ মোট ১২৮ জনকে সপ্তম ইউ জি সি স্কেল প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে৷ এর ফলে রাজ্য সরকারের বছরে অতিরিক্ত ৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন৷