ফের যান সন্ত্রাস কেড়ে নিল এক যুবকের প্রাণ গুরুতর আহত আরও দুই

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২২ আগস্ট৷৷  ফের যান সন্ত্রাস কেড়ে নিল এক তরতাজা যুবকের প্রাণ৷ আহত হয়েছেন আরও দুই যুবক৷ তাঁদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ কলকাতায় পাঠানো হয়েছে৷ তবে, ওই ঘটনায় মৃতের পরিবার সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ নিছক দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যা, পুলিশের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার৷

বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ সিপাহিজলা জেলার চড়িলাম ছেচড়িমাই এলাকায় সংঘটিত দুর্ঘটনায় পুরানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত দাসের (১৯) মৃত্যু হয়েছে৷  একই এলাকার বাসিন্দা লিটন সাহা (১৯) এবং আকাশ সাহা (১৮) ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে আকাশ সাহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে৷ মৃত দেবব্রত দাস কলেজ ছাত্র ছিলেন৷ সাথে তিনি মডেলিংও করতেন৷ মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, বুধবার রাতে তিনজন মিলে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিল৷ এর পরই পুলিশের কাছ থেকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান৷

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ছেচড়িমাই এলাকায় সুকান্ত তাঁতশিল্প অফিসের সামনে জাতীয় সড়কে প্রচণ্ড গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টিআর ০১ বিজি ১৬৬৩ নম্বরের গাড়িটি দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়৷ ওই গাড়িটি জাতীয় সড়কের পাশে বাঁশের তৈরি একটি ঘরের সাথে ধাক্কা লেগে অন্তত ২০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে৷ তাতে, গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে৷ দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে স্থানীয় জনগণ ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করেন৷ এরই মধ্যে খবর পেয়ে বিশ্রামগঞ্জ থেকে দমকল কর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান৷

পুলিশের বক্তব্য, প্রথমে তাঁদের বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তিনজনকেই অন্যত্র স্থানান্তর করেন৷ তাঁদের মধ্যে দেবব্রত দাস এবং আকাশ সাহাকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং লিটন সাহাকে হাপানিয়াস্থিত টিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু, রাতেই দেবব্রত দাস মারা যান৷ পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ সাহাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে৷ এদিকে, লিটন সাহার অবস্থা স্বাভাবিক দেখে চিকিৎসকরা আজ তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়েছেন৷

ময়না তদন্তের পর এদিন দুপুরে দেবব্রত দাসের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই তার বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ প্রতিবেশীরাও শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েন৷ মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তারা তিনজনের সকলে গাড়ি চালাতে জানতেন না৷ ফলে, ওই দুর্ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কিনা সেই প্রশ্ণ তুলেছেন তারা৷ পুলিশের কাছে ওই দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের বাবা-মা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *