![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/IMG-20190819-WA0048-1024x683.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট৷৷ স্বাধীন ত্রিপুরার শেষ রাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের ১১১-তম জন্মতিথি আজ৷ এ-উপলক্ষ্যে দু’’দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সূচনা হয়েছে আজ, সোমবার থেকে৷ রাজধানীর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের পার্শবর্তী চন্দ্রমহলে আয়োজিত এই চিত্র প্রদর্শনীতে স্বাধীন ত্রিপুরার শেষ মহারাজা তথা আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের আলোকচিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷
দুদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের স্ত্রী নীতি দেব, ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য ও বীরবিক্রমের পৌত্র তথা ত্রিপুরা প্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ বিক্রম কিশোর দেববর্মা, রাজপরিবারের আরও এক সদস্য বীরবিক্রমের পৌত্রী প্রজ্ঞা দেববর্মা, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের অবজারভার ভূপেন বরা, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র তাপস দে-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা৷
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে নীতি দেব বলেন, ত্রিপুরা ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম একটি রাজ্য হলেও শেষ মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের মন ছিল বিশাল বড়৷ তিনি পারলে সবাইকেই এই রাজ্যে স্থান করে দিতেন৷ তাছাড়া তিনি এই রাজ্যকে উন্নত একটি রাজ্যে পরিণত করার জন্য অনেক কাজ শুরু করে গিয়েছিলেন৷ সবাই মিলে এখানে মিলেমিশে রয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী-জায়া আরও বলেন, তিনি মূলত পঞ্জাবের হলেও এই রাজ্যের সংসৃকতি ঐতিহ্য গ্রহণ করেছেন৷ রাজ্যের বধূ হিসেবে তিনি যখন দেশের অন্য প্রান্তে ত্রিপুরার পরম্পরাগত পোশাক পড়ে যান অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি গর্বের সঙ্গে জানান তিনি ত্রিপুরার বাসিন্দা৷
এখানে আসার আগে তিনি বুঝতেও পারেননি যে এভাবে সাধারণ মানুষের এত ভালোবাসা পাবেন৷ যতদিন বেঁচে থাকবেন, এ-নিয়ে তিনি গর্ববোধ করবেন৷ তাঁর এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত সকলে করতালিতে মাতিয়ে তুলেন গোটা মহল৷
অপরদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা বলেন, মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর খুব অল্প বয়সেই সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ কিন্তু মাত্র সাতাশ আটাশ বছর বয়সেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে হিটলার মুসোলিনি টুয়েলভ-এর মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচিতি করিয়েছিলেন৷ তিনি প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন৷ তিনি আরও বলেন, মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর আরও কিছুদিন বেঁচে থাকলে ত্রিপুরার চেহারাটাই অন্যরকম হত৷ ইন্ডিয়ান ন্যশনাল ট্রাস্ট অব আর্ট অ্যান্ড কালচার-এর উদ্যোগে হচ্ছে দু’’দিনব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী৷