![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/Gilani.jpg)
নয়াদিল্লি, ১৯ আগস্ট (হি.স.) : বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে বরখাস্ত দুই বিএসএনএল কর্মী ৷ সোমবার প্রকাশ্যে আসা খবরে জানা গেছে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গুজব আটকাতে গোটা উপত্যকায় যখন ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সরকার, তখন গিলানির বাড়িতে পরিষেবা চালু রেখেছিল অভিযুক্তরা৷
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলুপ্ত হয়েছে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা৷ ঠিক এর আগের দিন অর্থাৎ ৪ আগস্ট গোটা উপত্যকায় ইন্টারনেট ও টেলিফোন ব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র৷ গুজব বা উসকানি রুখতে সেমতোই টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ করে বিএসএনএল৷ উপত্যকার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে নজরবন্দি করে প্রশাসন৷ অভিযোগ, গোটা উপত্যকা যখন বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, তখন কেবলমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ গিলানির বাড়ির ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু ছিল৷ ফলে ৮ আগস্ট ভোর পর্যন্ত টুইট করতে সক্ষম হয় সে৷ এমনকী সকলের অগোচরে ফোনে বাইরের জগতের সঙ্গেও পুরোদমে যোগাযোগ রাখে এই শীর্ষ বিচ্ছিন্তাবাদী নেতা৷
বিষয়টি নজরে আসার পর কেন্দ্রের তরফে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে আটটি অ্যাকাউন্ট বন্ধের আরজি জানানো হয়৷ সেইসঙ্গে বিষয়টি জানার পরই খোঁজ শুরু করে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ৷ আর তাতেই ধরা পরে মূল অভিযুক্তরা৷ সঙ্গে সঙ্গে তাদের বরখাস্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ সূত্রের খবর, এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে পারে প্রশাসন৷