![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/11/Amit-Shah.jpg)
চেন্নাই, ১১ আগস্ট (হি.স): ‘৩৭০ ধারার অবলুপ্তি কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদকে খতম করবে’, বলে রবিবার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ । একই সঙ্গে তাঁর দাবি, জাতির অগ্রগতিও হবে । রবিবার চেন্নাইতে প্রকাশিত হল উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডুকে নিয়ে লেখা একটি বই । এদিন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন অমিত শাহ । স্বাভাবিক ভাবে সেখানে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ভাবেই বিশ্বাস করতাম সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ উঠে যাওয়া উচিত । কারণ, এই অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এবার উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ শেষ হবে এবং কাশ্মীর উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে’। কেন্দ্র সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদের বাইরে এই প্রথম মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ৫ আগস্ট রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন অমিত শাহ । তার পর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে ঝড় বইছে । কেন্দ্র সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বলেই বিশেষ মর্যাদা পেত জম্মু-কাশ্মীর । তা তুলে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, কারণ এটা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়’।
গত ৫ আগস্ট রাজ্যসভার জবাবি ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের মুকুটমণি । পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ রাজ্য হবে । উপত্যকাকে কিছুতেই কসভো হতে দেব না’। একই সঙ্গে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দেওয়ার জন্য নাম না করে তিনটি পরিবারকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি । বলেছিলেন, ‘উপত্যকার মানুষকে যাঁরা উস্কানি দেয়, খেপিয়ে তোলে, তাঁদের ছেলে-মেয়েরা লন্ডনে পড়াশুনা করে । তাঁদের চিন্তা নেই । তাঁরা চায়, উপত্যকার ছেলে-মেয়েদের অশিক্ষিত করে রাখতে ।
তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তও এ ব্যাপারে এনডিএ সরকারের প্রশংসা করেন এবং অমিত শাহের সংসদের ভাষণ নিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান । রজনীকান্ত বলেন, ‘অমিত শাহকে হার্দিক অভিনন্দন । যে ভাবে উনি ব্যাপারটা ঘটিয়েছেন এবং সংসদে যে ভাষণ দিয়েছেন তা চমৎকার’। একই সঙ্গে তিনি অমিত শাহ ও মোদীর জুটিকে কৃষ্ণার্জুনের সঙ্গেও তুলনা করেন ।
এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জম্মু কাশ্মীরের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন যে দ্রুত সেখানে নির্বাচন হবে এবং সেখানকার মানুষ আগের মতই বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারবেন ।