গোটা কৈলাসহর মহকুমায় নেশা ব্যবসায়ীরা ফের সক্রিয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ১০ আগস্ট ৷৷ কৈলাসহরের শহর এলাকা সহ গোটা কৈলাসহর মহকুমায় নেশা ব্যবসায়ীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ নেশা কারবারী সফিক বক্সকে প্রায় ছয়মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে গতকাল গভীর রাতে প্রায় সাড়ে তিনটার সময় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে কৈলাসহর থানার পুলিশ৷


কৈলাসহর থানাধীন লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা সফিক বক্স অনেক বছর ধরে নেশা সামগ্রীর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে৷ সফিকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মানুষ সহ শহরবাসীরা৷ তারা জানান, সফিক কোরেক্স, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, ব্রাউন সুগার, হিরোইন ইত্যাদি নেশা সামগ্রী গোটা কৈলাসহর মহকুমায় বিক্রি করত৷ শুধু কৈলাসহরেই নয়, সফিক বাংলাদেশেও নেশা সামগ্রী অবৈধভাবে পাচার করত৷ ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের পাশেই অবস্থিত লক্ষ্মীপুর গ্রামটি৷ আর এই কাঁটাতারের দিকেই নেশা সামগ্রী পাচার করত সফিক৷ বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবকরা এসে এমনকি সুকলের ছাত্ররা এসেও সফিকের বাড়িতে এসে নেশা সামগ্রী নিয়ে যেত বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন৷ গ্রামবাসীরা আরও জানান যে, সফিক বক্স এই নেশা সামগ্রীর ব্যবসাতে একা জড়িত নয়, এই নেশা সামগ্রীর ব্যবসায় সফিকের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর গ্রামের আরও দু’জন যুবক জড়িত রয়েছে৷

সফিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করার জন্য গ্রামবাসীরা কয়েকবার ওসি, এসপি, এসডিএম-এর নিকট ডেপুটেশন দিয়েছিল৷ গতকাল গভীর রাতে পুলিশ সফিককে গ্রেপ্তার করায় গ্রামবাসীরা খানিকটা স্বস্তি প্রকাশ করলেও গ্রামবাসীরা দাবি করছেন যে, সফিক যেন আর ছাড়া না পায় এবং সফিকের সঙ্গে আরও যে দু’জন জড়িত রয়েছে তাদেরকেও যেন পুলিশ অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে৷ পুলিশ ধৃত সফিককে শনিবার দুপুর আড়াইটায় কৈলাসহর আদালতে প্রেরণ করে৷ উল্লেখ্য, সফিকের বিরুদ্ধে কৈলাসহর আদালত দু’বছর পূর্বে এনডিপিএস মামলায় তিন বছরের জেল এবং অনাদায়ে দশ হাজার টাকা সাজা ঘোষণা করেছিল৷ সেই মামলায় সফিক দশ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছিল৷ তাছাড়াও কৈলাসহর আদালতে সফিকের বিরুদ্ধে আরও পৃথক পৃথক দুটি এনডিপিএস মামলা চলছে৷ গত জুলাই মাসে উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সফিকের বাড়িতে এসে তল্লাশি চালালেও সফিককে সেদিন ধরতে পারেননি৷
গ্রামবাসীরা জানায়, গতকাল রাতে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে সফিক এই খবর বাংলাদেশের নেশা ব্যবসায়ীরা না জানাতে আজ সকালেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কাঁটাতারের পাশে এসে সফিককে ডাকাডাকি করেছিল৷ প্রায় এক ঘণ্টা পর ব্যবসায়ীরা যখন শুনতে পায় সফিক পুলিশের জালে রয়েছে তারপর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ফিরে চলে যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *