এডিসির কার্যনির্বাহীদের সদস্যদের নিরাপত্তা কমিয়ে দেয়ায় ক্ষোভ রাধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ আগস্ট৷৷ ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য, চেয়ারম্যান এবং কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা হ্রাস করার ঘটনায় চরম অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা৷ শনিবার ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা বলেন, বর্তমান সরকার জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের মর্যাদাহানির চেষ্টা করছে৷ এ ধরনের প্রয়াস জেলা পরিষদের প্রতি অবজ্ঞার শামিল বলে তিনি মন্তব্য করেছেন৷


১৯৯৮ সালের জুনমাস থেকে ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে কেবিনেট স্ট্যাটাস এবং জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্যদের স্টেট মিনিস্টারের স্ট্যাটাস ঘোষণা করা হয়৷ এতদিন ধরে সে অনুযায়ী যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল৷ নতুন সরকার আসার পর এ মাসের প্রথম দিক থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্যের বাস ভবন থেকে আচমকা হাউস গার্ড প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্যদের ডাবল এসকর্ট ছিল৷ বর্তমানে সিঙ্গেল এসকর্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ এ ধরনের ঘটনার তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা৷

তিনি বলেন, জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্যরা বার বার আক্রান্ত হচ্ছেন৷ তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে৷ কার্যনির্বাহী সদস্য পরীক্ষিৎ মুড়াসিং, জয়বাহাদুর জমাতিয়া এমনকি মহিলা সদস্যা সন্ধ্যারাণী চাকমা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তারপরও ডাবল এসকর্টের বদলে তাদের জন্য সিঙ্গেল এসকর্ট করে দেওয়ার ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগজনক৷ বর্তমান সরকার জেলা পরিষদের বর্তমান কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক অধিকার করণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন৷ এ ধরনের কার্যকলাপ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন রাধাচরণবাবু৷ এ ধরনের অমর্যাদার ভবিষ্যৎ পরিণাম ভাল হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য, চেয়ারম্যান এবং কার্যনির্বাহী সদস্যদের পূর্ণ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷


মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা আরও অভিযোগ করেন বর্তমান সরকার জেলা পরিষদকে বাজেটে বরাদ্দ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে৷ যে পরিমাণ বাজেট করা হয়েছে সেই টাকাও সঠিক সময়ে জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তর করা হচ্ছে না৷ এর ফলে জেলা পরিষদ এলাকা উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *