আমবাসায় ছাত্রী নিবাসে মশারি থেকে অ্যালার্জি, ১৫ পড়ুয়া ভর্তি হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ আগস্ট৷৷  সোমবার রাতে খাবার খেয়ে মশারি টাঙিয়ে শুয়েছিল আবাসিকের ছাত্রীরা৷ এর পর আচামকা অসুস্থ হয়ে পড়ে আবাসিকের ১৫ জন ছাত্রী৷ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে, চলছে চিকিৎসা৷

ঘটনা ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসা মহকুমাধীন উত্তর নালিছড়া তফশিলি ছাত্রী নিবাসে ঘটেছে সোমবার রাতে৷ ছাত্রীরা জানিয়েছে, প্রতিদিনের মতো তারা গতকাল রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় ঘুমাতে যায়৷ তখন ছাত্রী নিবাসের ওয়ার্ডেন স্বপ্ণা চক্রবর্তী যথারীতি নির্দেশ দেন মশারি টাঙিয়ে যে যার বিছায় শুয়ে পড়তে৷ তারাও মশারি টাঙিয়ে শুয়ে পড়ে৷ কিন্তু বিড়ম্বনা ঘটে কিছুক্ষণ পর৷ আচমকা এক এক ছাত্রীর শরীরে চুলকানো শুরু হয়৷ তারা তাদের অস্বস্তির কথা ওয়ার্ডেন স্বপ্ণা চক্রবর্তীকে জানায়৷

এদিকে খবর ছড়িয়ে পরে অভিভাবক মহলে৷ শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ৷ ছাত্রী নিবাসে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ এবং কয়েকজন অভিভাবক৷ তাঁরা অসুস্থ ছাত্রীদের নিয়ে যান ধলাই জেলা হাসপাতালে৷ ইত্যবসরে তাদের শরীর লাল হয়ে ফুলে গিয়েছে৷ তা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভরতি করে তরিৎগতিতে চিকৎসা শুরু করেন৷

ঘটনা সম্পর্কে আজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মানস দেববর্মা জানান, ওষুধযুক্ত মশারি ব্যহারের কারণে তাদের শরীরে অ্যালার্জি হয়েছে৷ তিনি আরও জানান, অসুস্থদের ওষুধ-সহ সেলাইন দেওয়া হচ্ছে৷ তাছাড়া রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান ডা. মানস দেববর্মা৷  প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধলাই জেলা হাই ম্যালেরিয়াপ্রোন জোন হিসেবে ভারত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রক চিহ্ণিত করেছে৷ ম্যালেরিয়ার হাত থেকে এই এলাকার লোকদের রক্ষা করতে ওষুধযুক্ত মশারি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন থেকে সরবরাহ করা হয়েছে৷ এলাকাবাসীর প্রশ্ণ এ-ধরনের মশারি তাঁরা প্রায় সকলেই ব্যবহার করেন৷ তবে এগুলি ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে৷ ছাত্রীদের যে সকল মশারি দেওয়া হয়েছে সেগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে, দাবি তুলেছেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *