জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বাতিল ৩৭০ ধারা, দিনভর সরগরম পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম

নয়াদিল্লি, ৫ আগস্ট (হি.স.) : বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার | জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়া হল ৩৭০ ধারা  | যার জেরে এর অন্তর্গত ৩৫-এ ধারাও বাতিল হয়ে গেল।  যা নিয়ে দিনভর সরগরম থাকল প্রতিবেশে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলি |  পাকিস্তানের প্রথম সারির টিভি চ্যানেল ‘জিও নিউজ’এর  আলোচনার কেন্দ্রে ৩৭০ ধারার বিলোপ।  নিউজ পোর্টাল ‘ডন’-এ সংবাদ শিরোনামে আছে ভারতের সিদ্ধান্ত | এবিষয়ে ছাপা হয়েছে একাধিক প্রতিবেদন। 

সোমবার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার | জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়া হল ৩৭০ ধারা  | যার জেরে এর অন্তর্গত ৩৫-এ ধারাও বাতিল হয়ে গেল।  একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হল- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। সোমবার সংসদ শুরু হতেই রাজ্যসভার অধিবেশনে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হইহট্টগোলের মধ্যে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান তিনি।  এই সিদ্ধান্তের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানেও | সেদেশের রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি দিনভর বিষয়টি নিয়ে সরগরম থাকল প্রতিবেশে এই দেশের সংবাদ মাধ্যম | পাকিস্তানের সমস্ত টিভি চ্যানেলে আলোচনার কেন্দ্রে ৩৭০ ধারার বিলোপ। নিউজ পোর্টালগুলির শিরোনামেও এই খবর। ছাপা হয়েছে একাধিক প্রতিবেদন।
পাক সরকারের বিদেশ মন্ত্রক মন্ত্রক নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে। তারই প্রতিফলন পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলিতেও। টিভি, নিউজ পোর্টালগুলির অধিকাংশই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। জম্মু কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যম। আবার নিয়ন্ত্রণরেখা এবং কাশ্মীরে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে বলেও একাধিক প্রতিবেদন পাক সংবাদ মাধ্যমে। আবার ৩৭০ ধারা রদ করার পরই কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়েছে বলে একটি টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু যে ছবি দেখানো হয়েছে, সেটা আসলে পুরনো ছবি। 

পাকিস্তানের প্রথম সারির টিভি চ্যানেলগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য ‘জিও নিউজ’। তাদের সুরও প্রায় একই প্রায় একই। অর্থাৎ সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা এবং বিরোধী ও কাশ্মীরের নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইসলামাবাদের অবস্থানেরও উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি জিও নিউজ চ্যানেলে। পিছিয়ে নেই অন্য টিভি চ্যানেলগুলিও। ৩৭০ ধারা রদের ঘোষণা হতেই চ্যানেলে চ্যানেলে শুরু হয়ে যায় ব্রেকিং নিউজ। তার পর দিনভর সেই চর্চাতেই সরগরম ছিল চ্যানেলগুলি। প্রায় সব চ্যানেলেই অতিথিদের বসিয়ে আলোচনা হয়েছে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে।

পাকিস্তানের নিউজ পোর্টাল ‘ডন’-এ ভারতের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করে পাক সরকারের বিবৃতি দিয়ে শিরোনাম করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের বেআইনি সিদ্ধান্তকে প্রতিরোধ করতে সমস্ত বিকল্প খুঁজে বার করবে। একই সঙ্গে বড় করে প্রকাশিত হয়েছে মূল খবরটি। ভারতের বিরোধীরা যে ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’, ‘সংবিধানের হত্যা’— এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, সেগুলি এক জায়গায় করে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে ‘ডন’। 

অন্য নিউজ পোর্টালগুলিতেও প্রায় একটি ছবি। ‘আগা নিউজ’, সামা নিউজের মতো পোর্টালগুলিতে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধ মনোভাবাপন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *