নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ আগস্ট ৷৷ ই-রিক্সা সম্পর্কিত রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ই-রিক্সা চালক ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ একই সুরে সিআইটিইউ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলি রাজ্য সরকারকে এই ইস্যুতে তীব্র ভাষায় ভৎসনা করেছে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2014/04/CPIM.jpg)
এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ই-রিক্সা পরিবহন ব্যবস্থাকে নিয়ম-পদ্ধতির মধ্যে আনার পক্ষে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়৷ কিন্তু, এই লক্ষ্যে এমন কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা মোটেই সংগত হবে না যে কারণে ই-রিক্সা নিয়ে পথে নামা যাবে না এবং পরিণামে এর হাজার হাজার চালকদের আয় উপযার্জন বন্ধ হয়ে যাবে৷ পরিবার পরিজন নিয়ে গোটা পরিবার অভুক্ত থাকতে বাধ্য হবেন৷ তাঁর মতে, ই-রিক্সা পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল হাজার নিত্য যাত্রীদের অভাবনীয় অসুবিধা ও অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হতে হবে৷
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ই-রিক্সা পরিবহন ব্যবস্থাকে নিয়ম – পদ্ধতির মধ্যে আনতে গেলে যদি আইনি জটিলতা কিছু থাকে বা দেখা দেয় তা অতিক্রম করতে সরকারকেই কার্যকরী সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে৷ তাঁর মতে, এই প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগতে পারে৷ এজন্য ই-রিক্সা চালকদের যথাযথ সময় দিতে হবে এবং বিশেষ করে রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তরকে ই-রিক্সা চালকদের সর্বোত্ত ভাবে সহায়তা করতে হবে৷ তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে ই-রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নামতে চালকদের বাঁধা দেওয়া এবং রিক্সা পুলিশ কৃতিক আটক করার পদক্ষেপ অমানবিক৷ এটা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার বলে তিনি দাবি জানিয়েছেন৷ বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে সমগ্র বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দ্রুত কার্যকরী ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন৷
এদিকে, সিআইটিইউ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি এক বিবৃতিতে ই-রিক্সা চালক বিবেকানন্দ মালাকারের আত্মহত্যার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ি করেছে৷ ই-রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সিআইটিইউ রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে৷ পাশাপাশি, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে আইন বিধি মেনেই সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে৷
একই ভাবে সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক মন্ডলি এক বিবৃতিতে ই-রিক্সা চালকদের চরম আর্থিক দুদর্শার সম্মুখীন হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে৷ সিপিএম ই-রিক্সা চালকদের রোজগারের প্রশ্ণে বিধি নিষেধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে৷