বাংলাদেশের অনুমোদনের জন্য ঝুলে রয়েছে গোমতি দিয়ে জাহাজ পরিষেবা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুলাই ৷৷ গোমতি নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল বাংলাদেশের অনুমোদনের জন্য ঝুলে রয়েছে৷ ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়ায় নদীপথে অভ্যান্তরীণ পরিবহণে টার্মিনাল তৈরি হবে৷ বাংলাদেশের সাথে নদীপথে যোগাযোগের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, বাংলাদেশ এখনও প্রটোকল রুট স্থাপনে অনুমোদন দেয়নি৷ তাই, সোনামুড়ায় অভ্যন্তরীণ নৌ-টার্মিনাল স্থাপনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যাচ্ছে না, লোকসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া৷


আজ লোকসভায় ত্রিপুরা পশ্চিম আসনের সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের নদীবন্দর স্থাপন সংক্রান্ত তারকাচিহ্ণ বিহীন প্রশ্ণের জবাবে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার সোনামুড়ায় অভ্যন্তরীণ নৌ-টার্মিনাল স্থাপনে চূড়ান্ত সমসয়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়৷ কারণ, গোমতির বুকে যে পথ ধরে বাংলাদেশের সাথে নদীপথে সংযোগ স্থাপন এবং পরিবহণ শুরু হবে, তা এখনও ভারত-বাংলা প্রটোকল রুটের অন্তর্ভুক্ত হয়নি৷


তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণে প্রটোকলের স্থায়ী কমিটির ১৯-তম বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নৌ-পরিবহণ এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বৈঠকে দুই দেশের সচিবস্তরের আলোচনায় সিদ্ধান্তক্রমে গঠিত যৌথ টেকনিক্যাল কমিটির আধিকারিকরা ত্রিপুরার সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি পর্যন্ত জল পরিবহণে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করেছেন৷ শুধু তাই নয়, গোমতি নদীপথে ভারত-বাংলাদেশে পরিবহণ সম্ভাবনা নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরা৷


জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, জলপথে গোমতি নদী বাংলাদেশে মেঘনা নদীর সাথে গিয়ে মিশেছে৷ ফলে, সোনামুড়ায় নদীবন্দর স্থাপনের ক্ষেত্রে জলপথে বাংলাদেশের সাথে প্রটোকল রুটে যুক্ত হতে হবে৷ তাঁর দাবি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ-বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে৷ কারণ, নদীপথে ভারত-বাংলা প্রটোকল রুটে সোনামুড়া-দাউদাকান্দি রুট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের অনুমোদনের প্রয়োজন৷ তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশ সরকারকে ওই রুট ভারত-বাংলা প্রটোকল রুটে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ তাই, সোনামুড়ায় নদীবন্দর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে, জানান তিনি৷


প্রসঙ্গত, সোনামুড়ায় নদীবন্দর স্থাপন হলে জলপথে বাংলাদেশের সাথে পরিবহণ শুরু হবে৷ ছোট জাহাজ দিয়ে পণ্য পরিবহণের পরিকল্পনা রয়েছে৷ মূলত, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরই এ-বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ কারণ, স্থলপথের পাশাপাশি জলপথে পণ্য পরিবহণ শুরু হলে ত্রিপুরা নানাভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করে রাজ্য সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *