বিএসএফ ও পুলিশের সাফল্য, মাদকসহ ধৃত এক পাচারকারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুন৷৷ নেশা বিরোধী অভিযানে ত্রিপুরায় আবারও বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ ও ত্রিপুরা পুলিশ৷ যৌথ অভিযানে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল এবং বিলেতি মদ-সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে৷


বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জীব কুমার জানান, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মাদক পাচার বিরোধী অভিযানে গিয়ে সাফল্য মিলেছে৷ সিপাহিজলা জেলার তারাপুকুর গ্রামে এক ব্যক্তিকে নেশা সামগ্রী-সহ আটক করতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ ও ত্রিপুরা পুলিশের যৌথ অভিযানকারী দল ৷ সঞ্জীব কুমারের কথায়, সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানাধীন ধনপুরের তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা আখতার হুসেনের (২৮) বাড়িতে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়েছিল ৷ এলাকায় আখতার হুসেন মাদক পাচারকারী হিসেবেই পরিচিত৷


সঞ্জীব কুমার বলেন, পুলিশ ও বিএসএফ-এর যৌথ অভিযানের আঁচ পেয়ে পাচারকারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ৷ কিন্তু, অভিযানকারী দল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে৷ তিনি জানান, আখতার হুসেনের বাড়ি থেকে ৪,২০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট যার বাজার মূল্য ২১ লক্ষ টাকা, ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল যার বাজার মূল্য ২৩ হাজার ১৪১ টাকা এবং ২৮ বোতল বিলেতি মদ যার বাজার মূল্য ১০ হাজার ৪৪০ টাকা উদ্ধার হয়েছে৷


তিনি আরও জানান, ধৃত আখতার হুসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, মূল পাচারকারী একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস মিয়াঁ ওই মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ সদর থানাধীন বালুয়ারচরের একবাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাচারকারী ইমান হুসেনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছিল৷ বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, মাদক সামগ্রী-সহ ধৃত আখতার হুসেনকে সোনামুড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷

তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, গত ছয় মাসে ত্রিপুরায় ১৬ জন ভারতীয় এবং তিন বাংলাদেশী পাচারকারীকে আটক করেছে বিএসএফ৷ সাথে প্রচুর নেশা সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে৷ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ওই আধিকারিকের কথায়, ত্রিপুরা পুলিশ এবং অন্য এজেন্সিদের সহায়তায় ত্রিপুরায় মাদক বিরোধী অভিযান এভাবেই জারি থাকবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *