শাকবাড়িতে আগ্ণেয়াস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ, তিনটি দেশী পিস্তল ও কার্তুজসহ বহু সামগ্রী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুন ৷৷ বাইক চুরির ঘটনায় পুলিশি অভিযানে একের পর এক অস্ত্রের সন্ধান মিলছে৷ সোমবার পুলিশ সটান হাজির হয় অস্ত্রের কারখানায়৷ উদ্ধার করেছে বহু অস্ত্রসস্ত্র ৷ সবই সম্ভব হয়েছে বাইক চুরির অভিযানে গিয়ে অস্ত্র-সহ ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বলে ৷
দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার শাকবাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির ছোট কারখানা উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ সোমবার ভোরে সাব্রুম মহকুমার এসডিপিও নির্দেশ দেব এবং মনুবাজার থানার ওসি সমীর দেববর্মা যৌথ অভিযান চালিয়ে শাকবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র তৈরির ছোট কারখানার হদিশ পেয়েছেন ৷ ওই বাড়িতে তিনটি দেশী পিস্তল-সহ বন্দুক তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, তাজা কার্তুজ ইত্যাদি উদ্ধার করেছেন তাঁরা ৷


প্রসঙ্গত, গত ১ জুন পুলিশ শাকবড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি দেশী পিস্তল-সহ ও কার্তুজ, ভোজালি, টর্চ ইত্যাদি সামগ্রী উদ্ধার করেছিল ৷ সাথে স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা, বাহাদুর ত্রিপুরা এবং জুয়েল ত্রিপুাকে আটক করেছিল ৷ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের চারদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছিল ৷
উল্লেখ্য, ওইদিনের ধৃত স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা জেল পলাতক খুনের আসামি ৷ ২০১৪ সালে পুলিশ-কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বর্ণকুমার ৷ ওই মামলায় তার কারাদণ্ড হলে ২০১৬ সালে জেল থেকে সে পালিয়ে গিয়েছিল ৷ ওইদিন তাকে যখন পুলিশ আটক করেছিল তখন তার পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল ৷ অবশ্য, পরে সমস্ত কিছু পুলিশের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷


মনুবাজার থানার ওসি জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে একজন স্বীকার করেছিল তারা পিস্তল তৈরির কাজে যুক্ত এবং গোপন ডেরায় প্রচুর অস্ত্র তৈরি হচ্ছে ৷ এই খবরের সূত্র ধরে সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অভিযানে নামে পুলিশ ৷ ওসি সমীর দেববর্মা বলেন, সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে ওই অভিযানে গিয়ে ধৃত স্বর্ণকুমার ত্রিপুরার ভাই অর্জুন ত্রিপুরার বাড়িতে হানা দেই ৷ ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাশের একটি স্থানে তিনটি দেশী পিস্তল, ২৪টি তাজা কার্তুজ, ১৬৭টি খালি কার্তুজ, ৫ রাউন্ড এসএলআর-এর বুলেট, একটি ওয়েল্ডিং মেশিন, একটি কাটার মেশিন, ড্রিল মেশিন, টোল বক্স-সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে ৷