রাজনৈতিক সংকটে আইপিএফটি, দুই মন্ত্রিসহ ছয় বিধায়ক হোঁচট খেলেন লোকসভা নির্বাচনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ ভয়ানক রাজনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে আইপিএফটি৷ লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে আইপিএফটির দুই মন্ত্রী সহ ছয়জন পরাস্থ হয়েছেন৷ বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র তের মাসেই দলের এই বিপর্যয় হয়তো ভাবেননি এন সি দেববর্মারা৷ ফলে, পৃথক রাজ্যের দাবী প্রত্যাখাত হয়েছে তা লোকসভা নির্বাচনে আইপিএফটিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে৷ এরই সাথে বিজেপির দাবি নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশ্মাতেই বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গঠন সম্ভব হয়েছিল এবং তাতে আইপিএফটির কোনও ভূমিকা ছিল না, তা প্রমাণিত হয়েছে৷


লোকসভা নির্বাচনে শাসক জোট শরিক আইপিএফটি চতুর্থ স্থানে গিয়ে ঠেকেছে৷ ভোটের হারে অনেক ভোট আইপিএফটির কমেছে৷ সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী অন্যতম হেভিওয়েট বিধায়ক তথা রাজস্ব মন্ত্রী এন সি দেববর্মা টাকারজলা কেন্দ্রে বিশাল ব্যবধানে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেছনে ফেলে দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য তথা আইপিএফটির সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়াকেও আশারামবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে পেছনে ফেলে দিয়েছে৷ এছাড়া সিমনা, মান্দাইবাজার, রামচন্দ্রঘাট ও অম্পিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী আইপিএফটিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে৷ ওই কেন্দ্রগুলিতে কংগ্রেস এগিয়ে থেকেছে৷


গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সাথে নিয়ে আইপিএফটি সিপিএমের হেভিওয়েট নেতাদের পরাস্থ কেরেছে৷ আশারামবাড়ি কেন্দ্রে বেশ কয়েকবারের সিপিএম বিধায়ক অঘোর দেববর্মাকে পরাজিত করেছে আইপিএফটির মেবার কুমার জমাতিয়া৷ এছাড়াও বাকি কেন্দ্রগুলিতেও আইপিএফটি সিপিএমের হেভিওয়েটদের পরাস্থ করে বিধানসভায় জয়ী হয়েছে৷ কিন্তু, তের মাসেই রাজ্যবাসীর আইপিএফটির প্রতি মোহ কেটে গিয়েছে৷ ফলে, আইপিএফটিকে ফলাফল নিয়ে এখন আত্মমন্থন করতে হবে৷