নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মে৷৷ রাত থেকে ভারি বৃষ্টিতে ঊনকোটি জেলায় কৈলাসহর মহকুমার উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে৷ মনু নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে৷ এখন পর্যন্ত ১০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ তাতে ১৩০ পরিবার ঠাই নিয়েছে৷ কৈলাসহর মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, উত্তর ত্রিপুরা জেলা সদর ধর্মনগরও গত রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ণ হয়ে পড়েছে৷

কৈলাসহর উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা মকবুল আলি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ টানা বর্ষণে কৈলাসহরের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয় জনগণ বিভিন্ন সমস্যা পড়েছেন৷ তিনি জানান, লক্ষীছড়া নদীর জল বিপদসীমার অতিক্রম করেছে৷ তাই, কৈলাসহরের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, মনু নদীর জলও বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে৷ যদি, ফের ভারী বৃষ্টিপাত হয় তাহলে মনু নদীর জলও বিপদসীমা অতিক্রম করবে৷
কৈলাসহরের মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, শহর উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১৩০টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ মোট ১০টি ত্রাণ শিবিরে তাঁদেরকে রাখা হয়েছে৷ তাঁদের জন্য খাদ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রেরও ব্যবস্থা করেছে মহকুমা প্রশাসন৷ তিনি আরো জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ কারণ, গত বছর মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে কৈলাসহরে বন্যা হয়েছিল৷ তাই, এবছর আগাম প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে৷
ধর্মনগর মহকুমা অন্তর্গত জেল রোড শিববাড়ি সিগন্যাল বস্তি ইয়াকুব নগর কুর্তি বিভিন্ন এলাকায় ঘন্টা চারেক এর বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার৷ রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটের সময় প্রচন্ড বৃষ্টি হয় ধর্মনগর মহকুমায়৷ বিভিন্ন এলাকা ঘন্টা তিনেক-এর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷
ফলে, ২০০ পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যেতে হয়েছে৷
আজ সকাল বেলা ধর্মনগর মহকুমা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকার কিছু যুবকের প্রচেষ্টায় বন্যা কবলিত মানুষদের বাড়ি বাড়ি বোট নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ উদ্ধারকাজে ধর্মনগর অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সুভাষ দত্তকেও দেখা গেছে মানুষকে নৌকা করে নিয়ে আসতে৷
ধর্মনগর অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বলেন, জলপ্লাবিতএলাকার মানুষদের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে৷