নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ মুঙ্গয়াকামী রেঞ্জের বনাঞ্চল ফাঁকা বনদস্যুদের দ্বারা৷ এবার গভীর বনাঞ্চলে থাকা বন্যহাতির দল এবার লোকালয়ে এসে হানাদারি চালাচ্ছে রাতের অন্ধকারে কিংবা দিবালোকে৷ লোকালয়ের মানুষজন হাতির তান্ডবে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্ত থাকতে হচ্ছে৷ অথচ বাম জামানা কালে বন্য দাতাঁল হাতির তান্ডব থেকে রক্ষার উপায় হিসাবে বনদফতর থেকে ফেন্সিং এর কাজ ও করেছিল ওই সময়৷ যা কোনো কাজেই আসেনি৷ লাভা লাভ হয় বন দফতরের একাংশ আমলার এবং রাজনৈতিক নেতাদের৷ উল্লেখ্য থাকে ইদানিংকালে বন্যহাতির তান্ডবে কল্যাণপুর থানাধীন এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়৷

এছাড়াও তেলিয়ামুড়া উত্তর মহারানীপুর সড়ক প্রায়ই বন্ধ থাকে বন্য হাতির বাড়বাড়ন্তে৷ বর্তমানে শুখা মরশুম চলছে৷ বনাঞ্চলে খাদ্যের অভাবের কারনে বন্যহাতির দল এবার লোকালয়ে এসে খাদ্যের জন্য তান্ডব চালাচ্ছে দফাক্রমে৷ মুঙ্গিয়াকামী রেঞ্জে বর্তমানে ১২টি বন্যহাতির রয়েছে৷ এর মধ্যে ৮টি হাতি উত্তর মহারাণীর গভীর জঙ্গলে এবং বাকি ৪টি হাতি রয়েছে জুম বাড়ি এলাকার জঙ্গলে৷
ওই সব বন্যহাতির দল খাদ্যের সন্ধানে উত্তর মহারানীপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে এসে ধানী জমি সহ কৃষিজফসল নষ্ট করছে৷ এর পাশাপাশি উত্তর মহারানীপুর এলাকায় একটি ছোট পরিত্যক্ত জলাশয় আছে৷ সেখানেও হাতির দল আসে জলতেষ্টা নিবারন করার জন্য৷ এবস্থা বন দফতরের কিছু সংখ্যাক কর্মীরা মধুপোকার সাউন্ড বাজিয়ে হাতি গুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে৷ কারন হাতি একমাত্র ভয় পায় মধু পোকাকে৷ বন কর্মীদের সহায়তা করছে এলাকার মানুষ জনরাও৷ প্রশ্ণ হচ্ছে মুঙ্গয়াকামী রেঞ্জের বনাঞ্চল ও ফাঁকা নতুন করে বনায়ন করতে হবে বন কর্মীদের৷ নতুবা এভাবে কতদিন চলছে৷ হাতির তান্ডবের আতঙ্কে এলাকাবাসীর রাত জেগে পাহাড়া ও দিতে হয় নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে৷

