নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৩ মে৷৷ আবারো অসম ত্রিপুরা সীমান্ত চুরাইবারিতে প্রচুর পরিমাণ গরু আটক৷গরু গুলি অসমের পাতারকান্দি চুড়াইবাড়ি রুট দিয়ে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশ পাচার করতে গিয়ে আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধিন চোরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ১৭(সতেরো)টি গরু৷একি সাথে ধরা পড়ে তিন পাচারকারিও৷জানা গেছে শুক্রবার দুপুরে বিশেষ গোপন সুত্রের ভিত্তিত্বে আসামের করিমগঞ্জ জেলার চোরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের ইনচার্জ সুপ্রীয় ভট্রাচার্য্য দলবল নিয়ে ওৎ পেঁতে বসে থাকেন স্থানিয় চোরাইবাড়ি মতলবির মোকামের পাশের(আট)নং জাতীয় সড়কের লাগোয়া পাহাড়ি নালার এক স্থানে৷
এমন সময়ে সড়কের পাশ দিয়ে জঙ্গলের ফাঁড়ি পথে কাঁঠালতলি অভিমুখে অবৈধ উপায়ে গরু নিয়ে রওয়ানা হওয়া পাচারকারি দলকে পুলিশ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সতেরোটি গরু সহ তিন চাঁইকে পাঁকড়াও করে৷পরে গরুগুলোকে হাতিখিরা সরকারি খোঁয়াড়ে রেখে ধৃতদের বাজারিছড়া থানায় সমঝে দেয় চোরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশ৷ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এনাম উদ্দিন পিতা আব্দুল মালিক(আঠাশ)কায়ূম উদ্দিন(উনিশ)পিতা হাজি মখলিছুর রহমান ও নূরুল হক(কসাই)(পয়তাল্লিশ)পিতা মৃত ছনুহর আলী৷উভয়ের বাড়ি অসমের বাজারিছড়া থানাধিন ডেঙ্গারবন্দ জিপির এক নং ওয়ার্ড ডেঙ্গারবন্দ গ্রামে৷এদিকে চুরাইবারি ওয়াচ পোষ্টের ইনচার্জ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য জানান যে গরুগুলো জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হলেও এগুলোর কোনও বৈধ কাগজ বা চালন সঙ্গে পাওয়া যায়নি৷পাচারকারিরা পাহাড়ি পথে গরুগুলোকে কাঁঠালতলি ত্রিপুরায় পাচার করার কথা পুলিশি জেরায় ন্বিকার করেছে ধৃৃৃৃতরাতরত৷
ধৃতরা নিজেদেরকে গরু বাউনি বলে পরিচয় দিয়েছে৷ত্রিপুরা সীমান্তের কাঁঠালতলি হয়ে রাতের অন্ধকারে জমায়েত করা গরুর দলকে উন্মক্ত কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে৷এ মর্মে গত কয়দিন আগে চাঁন্দখিরা ও পাথারকান্দি পুলিশ গরু সহ লরি ও গরু পাচারকান্ডে জড়িত সাত দাগি পাচারকারিকে পাঁকড়াও করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও ওদের বাগে আনা সম্ভব হচ্ছে না৷এসব অবৈধ কারবারের পিছনে ত্রিপুরা অসম রাজ্য সহ বহি রাজ্যের হোজাই লঙ্কা ও ডবকার বেশ কিছু রাঘব বুয়ালরা জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে৷তবে প্রশাসনও হাত পা গুটিয়ে বসে নেই,তাই একের পর এক সাফল্য আসছে৷আগামি কাল আটক গরুগুলোকে কাষ্টমসবিভাগের হাতে সমঝে দিয়ে ধৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে৷