নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল ৷৷ ক্ষমতা থাকলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণকে গ্রেফতার করুক পুলিশ৷ নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে একথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি তাপস দে৷ তাঁর প্রশ্ণ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যদি সত্যিই কোনও অন্যায় করে থাকেন, তাহলে এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না কেন?

তাপসের দাবি, থানায় ঢুকে ওই যুবককে একজন অভিভাবক হিসেবে শাসন করেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ৷ সাথে যোগ করেন, ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার পেছনে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে৷ তাঁর যুক্তি, চড় মারার কিছুক্ষণের মধ্যে ভিডিও ফুটেজ লিক হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করেছে এর পিছনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপি যুক্ত৷
বৃহস্পতিবার খোয়াই জেলায় তুলাশিখরে পূর্ব আসনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রজ্ঞা দেববর্মণ আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে আইপিএফটি-র এক সমর্থককে পুলিশ আটক করে৷ কংগ্রেস প্রার্থী তথা নিজের বোন আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেয়ে ছুটে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ৷ খোয়াই থানায় গিয়ে তিনি ধৃত আইপিএফটি সমর্থক পিন্টু দেববর্মাকে কষিয়ে চড় মারেন৷ এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ ঊর্ধমুখী৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই আচরণ রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেও বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে৷ এ ঘটনায় নির্বাচনি পরিস্থিতিতে রাজ্যে কংগ্রেস কিছুটা বেকায়দায় পড়ে গেছে৷
এ-বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দে বলেন, পূর্ব আসনে প্রার্থী প্রজ্ঞা দেববর্মণের আক্রান্তের ঘটনায় ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রদ্যুৎ৷ কারণ, রাজকুমারী প্রজ্ঞা দেববর্মণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বোন৷ স্বাভাবিকভাবে, বোনের উপর আক্রমণের ঘটনায় রাগ সামলাতে পারেননি তিনি৷ তাপস দে-র দাবি, থানায় ঢুকে ওই যুবককে চড় মারার পেছনে কোনও বদ উদ্দেশ্য ছিল না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির৷ জনজাতি অংশের ওই যুবক প্ররোচনার ফাঁদে পা দিয়ে বিপথে চলে যাচ্ছে, তাই অভিভাবক হিসেবে তাকে শাসন করেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর৷ কিন্তু এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে৷
তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী আক্রান্তের ঘটনা থেকে শুরু করে থানা পর্যন্ত যা যা ঘটেছে তার পেছনে বিজেপির ইন্ধন রয়েছে৷ কারণ, ওই যুবককে থানায় চড় মারার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিও লিক হয়ে গিয়েছে৷ তাঁর মতে, শাসক দলের সাহায্য ছাড়া থানা থেকে ভিডিও লিক সম্ভব নয়৷ তাই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে গ্রেফতার করে দেখাক পুলিশ৷