কলকাতা, ২৬ মার্চ (হি.স.): এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন ৷ সম্প্রতি মুকুল রায়ের একটি মন্তব্য ঘিরেই যাবতীয় বিতর্কের সূচনা ৷ নির্বাচন কমিশনকে মূক বধির বলে আখ্যা দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ৷ আর এই মন্তব্যের কারণে ক্ষুব্ধ কমিশন ।

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রীর ঘটনা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি আক্রমণ করে মুকুল রায় বলেন, ‘কমিশন ম্যানেজ হয়ে গেছে’৷ মঙ্গলবার জানা গেছে, মুকুলের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে কমিশন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন ৷
বিজেপি নেতা মুকুল রায় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন । তিনি মন্তব্য করেন, রাজ্যে আসলে কমিশন সম্পূর্ণ ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র্য বজায় নেই । নিজে থেকে কিছু করার অবস্থায় নেই নির্বাচন কমিশন । আর এই মন্তব্যের জেরেই বেজায় ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন ।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের অফিস বলে সোমবার মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় । তিনি বলেন, ‘মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মূক ও বধিরের মতো আচরণ করছেন । এটা আমি বলছি না । এটা পাবলিক পারসেপশন’। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন আধিকারিকের অফিস পক্ষপাতিত্ব করছে। সিপিএম নেতা রবীন দেবেরও অভিযোগ ছিল, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন না ।
আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে শোকজ় করা নিয়ে আক্রমণের শুরু হয় । মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের অফিসে দাঁড়িয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেছিলেন, ‘মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কার্যালয় বাবুল সুপ্রিয়র ব্যাপারে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে । তাঁকে শোকজ় করার কোনও কারণই ছিল না’। গতকাল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারককে আক্রমণ করেন । তিনি বলেন, ‘আমাদের তরফে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। এরাজ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালানো যাচ্ছে না । নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রাজ্য সরকার মানছে না । মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মুক ও বধিরের মত আচরণ করছেন । এটা পাবলিক পারসেপশন । মনে হচ্ছে তাঁকে কখনও কখনও রাজ্য সরকার ম্যানেজ করছে’।
সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন অভিযোগ করেছি । কিন্তু মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে অভিযোগের চটজলদি সুরাহা করা হচ্ছে । এক্ষেত্রে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে’।