ত্রিপুরা প্যারামেডিকেল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যকলাপে ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মার্চ৷৷ ত্রিপুরা প্যারামেডিকেল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যকলাপে ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রছাত্রীরা। আইনি গ্যাঁড়াকলের ফাঁদে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা অসহায় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে হোস্টেল গুলিতে। কৈলাশহরের এক ছাত্রীর বাবা হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় শায়িত হওয়ার পরও তাকে হোস্টেল থেকে বাড়িতে যেতে না দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে সহপাঠীরা প্যার মেডিকেল কলেজে শুক্রবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ত্রিপুরা প্যারামেডিকেল কলেজের ছাত্রীরা অসহায় জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আইনী গ্যাঁড়াকলের নামে তাদেরকে সবসময় হোস্টেলের ভিতরে আটকে রাখা হচ্ছে।

পরিবারের কোনো সদস্য এমনকি মা বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাদেরকে বাড়ি ঘরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের অমানবিক ঘটনার প্রমাণও মিলেছে । কৈলাশহর এর দুর্গম এলাকার এক ছাত্রী প্যারামেডিকেল কলেজে হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করে। গত তিনদিন আগে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। মৃত্যু শয্যায় হাসপাতালে শায়িত বাবাকে দেখার জন্য পরিবারের তরফ থেকে ছাত্রীটিকে ফোন করা হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষেরকে জানানোর পরও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেন। সহপাঠীদের অভিমত সময়মতো তাকে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দিলে সে তার বাবাকে জীবিত অবস্থায় শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেত। কিন্তু সেই শেষ সুযোগটুকু দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ছাত্রীটি ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদন জানালে তাকে নাকি তির্যক বাক্যে বলা হয় সে গিয়ে তার বাবার সার্জারি করবে নাকি। শোকাতুর ছাত্রীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নিতে নারাজ সহপাঠীরা। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *