BRAKING NEWS

দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র, সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত

নয়াদিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বড় ধাক্কা খেল দিল্লির আপ সরকার। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লি সরকার নয়, দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে শুধু কেন্দ্রের হাতে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরই ক্ষুব্ধ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, ‘ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ অগণতান্ত্রিক। দিল্লিবাসীর প্রতি অবিচার। যদি সরকার তার অফিসারদের বদলি না করতে পারে তাহলে সেই সরকার কীভাবে কাজ করবে। যে দলটার ৬৭টা আসন আছে তার কোনও অধিকার নেই, অথচ যে দলটা মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে, তার হাতেই সব ক্ষমতা।’ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে লড়তে আইনি উপায় অবলম্বন করতে চলেছেন তাঁরা বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে আপের আইনজীবী সওয়াল করেন, কেন কোনও নির্বাচিত সরকারের হাতে তার দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বা কোনও অফিসারকে বদলির অধিকার থাকবে না। আদালত এব্যাপারে সিদ্ধান্তে জানায়, দিল্লির দুর্নীতি দমন শাখা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত। তাই কোনও সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করার অধিকারও লেফটেন্যান্ট গভর্নরই নিতে পারবেন, মুখ্যমন্ত্রী নয়। তবে দিল্লি সরকারের অফিসারদের কর্তৃত্বের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বিচারপতি একে সিক্রি এবং অশোক ভূষণের মধ্যে মতান্তর হয়। সিক্রির মতে, যুগ্মসচিব পদমর্যাদার অফিসারদের বদলি লেফটেন্যান্ট গভর্নরেরই করা উচিত। তা মানতে পারেননি বিচারপতি অশোক ভূষণ। শীর্ষ আদালত বলেছে, বিদ্যুৎবণ্টন কোম্পানির ডিরেক্টরের নিয়োগ, কৃষিজমির দাম নির্ধারণ বিশেষ সরকারি আইনজীবীর নিয়োগ করতে পারবে দিল্লি সরকার। যদি লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং সরকারের মধ্যে মতবিরোধ হয় তাহলে দুপক্ষই রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারে। এরপরই দুই বিচারপতির মতান্তরের জেরে মামলা উচ্চ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *