নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি৷৷ ডট কমের যুগেও বাউল গান এবং বাঁশির তালে মন আন্দোলিত হয়৷ কারণ এই গাণে রয়েছে প্রাণ ও হৃদয়ের ছোঁয়া৷ বাউলরা নিজস্ব তাল এবং ছন্দের মাধ্যমে মাটির গানকে অতিসহজেই পরিবেশন করে থাকেন৷ তাই এই গানে প্রচুর আনন্দ পাওয়া যায়৷ আজ চন্দ্রপুরের বলদাখালস্থিত আগরতলা পাবলিক সুকল মাঠে বাউল উৎসব -২০১৯ এর সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা জানান৷ তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার ত্রিপুরার লোকসংসৃকতিকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করছে৷ রাজ্যে ললিত কলা একাডেমির শাখা খোলা হয়েছে৷ একাডেমির নতুন ভবন নির্মিত হবে৷ সম্প্রতি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে৷ শিল্পীরা বাউল গান এবং লোকসংসৃকতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

অনুষ্ঠানে বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বলেন, বাউল সংসৃকতি হলো মূলতঃ বাউল ধর্ম৷ বাউলরা তাদের গানের মাধ্যমে ঈশ্বর সাধনায় মগ্ণ থাকেন৷ বাউল গানে রস ও প্রাণ থাকে৷ বিধায়ক আশিস কুমার সাহা বলেন, শ্রমের সাথে বিনোদনকে যুক্ত করলে মানুষের মধ্যে আনন্দ ও প্রাণ থাকবে৷ লোকসংসৃকতির মাধ্যমে মানুষের ভাবনাকে অতি সহজেই তুলে ধরা যায়৷ অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বর্তমান যুগের আধুনিক সংসৃকতির ছোঁয়ার মাঝেও বাউল গান খুবই জনপ্রিয়৷ বাউলেরগুরুত্ব অনুধাবন করে ইউনেসকো পর্যন্ত একে স্বীকৃতি দিয়েছে৷
অনু,ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন বাউল উৎসব কমিটির সভাপতি ড উত্তম সাহা৷ স্বাগত ভাষণ দেন অরুণ নাথ৷ অনুষ্ঠানে রাজ্যের চার জন লোকশিল্পীকে লোকসংসৃকতি প্রসারে অনবদ্য ভূমিকার জন্য সংবর্ধনা জানানো হয়৷ উল্লেখ্য, ত্রিপুরার লোকসংসৃকতি সংসদ এবং তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই বাউল উৎসব দু’দিন ধরে চলবে৷

