বুলন্দশহর, ৩ জানুয়ারি (হি.স.): দীর্ঘ ৩০ দিনের লুকোচুরি অবশেষে সমাপ্ত হল| পুলিশের জালে ধরা পড়ল উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর হিংসা মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজ| ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর গো-হত্যাকে ঘিরে হওয়া হিংসা-বিক্ষোভের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর| বুলন্দশহরের চিঙ্গারওয়াথি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ-হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং| এছাড়াও আরও একজন যুবকেরও মৃত্যু হয়েছিল| ওই দিনের হিংসাত্মক ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজ| অবশেষে ৩০ দিন পর উত্তর প্রদেশ পুলিশ যোগেশ রাজকে গ্রেফতার করেছে| বুধবার রাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে যোগেশ রাজ|

২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরের স্যানা মকুমা এলাকায় মাহু গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে কিছু গোরুর দেহাংশ মেলে| এরপরই গুজব রটে যায় গোরুগুলিকে হত্যা করা হয়েছে| ট্র্যাক্টরে করে সেই দেহাংশ এনে চিঙ্গারওয়াথি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কিছু মানুষজন| পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা| বিক্ষোভকারীদের একাংশ বুলন্দশহর হাইওয়ে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করলে আসরে নামে পুলিশ| ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসডিএম অবিনাশকুমার মৌর্য্য| তারপরই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে বিক্ষোভ| প্রশাসনিক আধিকারিকদের ঘিরে ধরে ইট-পাথর ছোঁড়া হয়| জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী| তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্টেশন হাউস অফিসার সুবোধ কুমার সিং| সেই সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে মৃত্যু হয় সুমিত নামে এক যুবকের| এরপরই বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ঘিরে ধরে পাথর মারতে শুরু করে| প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে যান অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা| পরে পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন|
ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজ| গোপন ডেরা থেকে অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ভিডিও বার্তা মারফত যোগেশ জানায়, ‘পুলিশ তাকে ফাঁসাচ্ছে’| এই ঘটনায় গত এক মাসে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ| কিছুদিন আগেই বুলন্দশহর হিংসা-বিক্ষোভ মামলায় প্রশান্ত নাট এবং কালুয়াকে নামে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ| প্রশান্ত এবং কালুয়ার পর এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজ|

