নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ আমবাসা, ৩ ডিসেম্বর৷৷ পৃথক স্থানে দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল৷ আগরতলার রামনগর সাত নম্বর রোডে এক বাড়ি থেকে জনৈক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ পুলিশের মতে এটি আত্মহত্যার ঘটনা৷ জানা গেছে, সোমবার সকালে পুলিশ রামনগর ওই বাড়ির এক ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ মৃত ব্যক্তিকে এসবিআইয়ের শালবাগান ব্রাঞ্চের ম্যানেজের বাদল নাথ বলে শনাক্ত করা হয়েছে৷ তাঁর বাড়ি দক্ষিণ অসমের করিমগঞ্জে৷ পলিশ জানিয়েছে, যে বাড়ি থেকে বাদলবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন৷ এই বাড়িতেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন৷ বাদলবাবুর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও পুলিশ কোনও তথ্য পায়নি৷ প্রাথমিক তদন্তের পর তবে পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভব ব্যাঙ্কে কোনও ঝামেলার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন৷ তবে বাদল নাথের আত্মহত্যার পেছনে পারিবারিক কোনও সমস্যার কারণও থাকতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে৷ জানা গেছে, ঘটনা সংক্রান্ত এক মামলা লিপিবদ্ধ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই আত্মহত্যার মূল কারণ জানা যাবে৷
এদিক, মায়ের প্রতি অভিমান করে গলায় ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোর৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আমবাসা থানাধীন কুলাই এলাকার সোনারা কোবরা পাড়ায়৷ আত্মঘাতী কিশোরের নাম সন্দীপ চৌধুরী৷ বয়স সতের৷ ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, শনিবার সকালে মা লক্ষ্মী দত্তচৌধুরীর সাথে কোনও এক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয় ছেলে সন্দীপের৷ সেই মনোমালিন্যের জেরে অভিমানী কিশোর সন্দীপ চৌধুরীর শনিবার বিকেলে দাদু সত্যবান দত্তের বাড়িতে চলে যায়৷
এদিকে, ছেলের অভিমান ভাঙতে মা লক্ষ্মী চৌধুরী পরের দিন অর্থাৎ রবিবার সকালে বাবার বাড়িতে চলে আসেন৷ ছেলের সাথে কথা হয় মায়ের৷ সবই ঠিকঠাক ছিল৷ কিন্তু, হঠাৎ ররিবার রাতে বিছানার উপর ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে যায় সন্দীপ৷ সন্দীপের নিথর দেহ ঝুলতে দেখে সবাই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন৷ এদিকে, ছেলের মৃতদেহ দেখে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন মা লক্ষ্মী দত্তচৌধুরী৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসে পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ নীচে নামিয়ে আনে এবং তা ময়না তদন্তের জন্য কুলাই জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়৷ মৃত সন্দীপ দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল৷ এই ঘটনায় দুই পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়েছে৷ এদিকে, একটি সরকারী তথ্য মোতাবেক জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ মার্চ থেকে ৩০ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৮৬৯ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ এর মধ্যে ৬৮ জন শিশু এবং ২২৮ জন মহিলা রয়েছেন৷
2018-12-04